কলকাতার হিংসায় গভীর রাতে বিজেপি নেতা বাগ্গার গ্রেফতারির পরই কি রাজীব কুমারের বদলি! প্রশ্ন উঠছে
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার আগে সরগরম বাংলার রাজনীতি। নির্বাচন কমিশনের বুধবারের ঘোষণা অনুযায়ী আজই শেষ বাংলায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রচার শেষ করে ফেলতে হবে। এছাড়াও বাংলার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সিআইডি এডিজি রাজীব কুমারকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সরানো হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকেও। এদিকে রাজীব কুমারের বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন উঠছে একাধিক।
কলকাতায় মঙ্গলবার রাতে বিজেরি রোড শো ঘিরে হিংসা , সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ঘটনার পর থেকেই দোষীদের খুঁজতে তৎপর হয় প্রশাসন। শহর থেকে রাতারাতি গ্রেফতার করা হয় ৫৮ জনকে। এদিকে, কলকাতার এক হোটেলে পৌঁছে পুলিশ রাত ২ টো নাগাদ গ্রেফতার করে বিজেপির দিল্লির নেতা তেজিন্দ্র পাল সিং বাগ্গাকে। বিজেপির দিল্লির এই নেতা কলকাতায় অমিত শাহের রোড শোর দিন রাতে হাজির ছিলেন মহানগরীতে। অভিযোগ ছিল , কলকাতায় হিংসা চলাকালীন তেজিন্দ্র সেখানে উপস্থিত ছিলেন। যদিও তেজিন্দ্র নিজে তা নস্যাৎ করে দেন। পাশাপাশি, তাঁকে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পরও কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারা যায়নি বলে ছেড়ে দেয়।
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বেশ কিছু সূত্রের দাবি, তেজিন্দ্র পাল সিং বাগ্গাকে গ্রেফতারির ঘটনাই রাজীব কুমারকে বিপাকে ফেলে দেয়। সিআইডি এডিজি হিসাবে হিংসার রাতে রাজীবের এই পদক্ষেপেই কি তাঁর বদলি হয়ে গেল রাতারাতি! প্রশ্ন রাজ্য সরকারের অন্দরমহলে। এদিকে, আরও একটি সূত্রের দাবি, নির্বাচন কমিশনের কাজের হস্তক্ষেপের জেরেই রাজ্য সরকারের পদস্থ এই দুই কর্তাকে নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কমিশন।