রাজ্য পুলিশ নিয়ে কোনও নিয়মই লাগু করেনি নির্বাচন কমিশন! তৃণমূলের অভিযোগ ঘিরে ধোঁয়াশা
বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশও রাখার দাবি তুলল তৃণমূল। শুক্রবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এক ঘণ্টা বৈঠক করে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। বৈঠকে এই দাবি তোলা হয়। মিটিংয়ে বুথের ১০০ মিটার চৌহদ্দির মধ্যে রাজ্য পুলিশের না থাকার কমিশনের নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। যদিও এহেন কোনও নিয়ম লাগু হয়নি বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
মিটিংয়ে তৃণমূলের তরফে সৌগত রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগদান করা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা, নাদিমুল হক, মহুয়া মৈত্র এবং প্রতিমা মণ্ডল। মিটিংয়ে বুথের ১০০ মিটার চৌহদ্দির মধ্যে রাজ্য পুলিশের না থাকার কমিশনের নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। যশবন্ত সিনহা বলেন, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখলে ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়তে পারেন।
কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের অভিযোগ, তাঁর কেন্দ্রের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বিএসএফ দেখলেই সাধারণ মানুষ ভয় পেয়ে যান। তাই বুথেও শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখলে ভোটাররা আতঙ্কিত হতে পারেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আচরণ যাতে সঠিক হয়, তার জন্য কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন কমিশন কর্তারা বৈঠক শেষে একথা জানান সৌগত রায়।
বৈঠকে সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল বলেন, বুথে কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভাষাগত সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই তিনি বুথে রাজ্য পুলিশও রাখার দাবি জানান। বিষয়টি কমিশন কর্তারা মেনে নিয়েছেন বলে দাবি করেন সৌগতবাবু। তৃণমূলের তরফে প্রতি বুথে ভিভি প্যাট রাখার দাবি করা হয়। যদিও তা মানতে চায়নি কমিশন। ইভিএম হ্যাকিং অসম্ভব বলে জানিয়ে দেন কমিশন কর্তারা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এবিষয়ে একটি বইও তুলে দেওয়া হয় সৌগতবাবুদের হাতে।