পূর্বরেলের এক হাজার কর্মী করোনা আক্রান্ত, তৃতীয় ঢেউয়ে কি বন্ধ হবে পরিষেবা, উদ্বেগ
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজ্যের বুকেও। দেশের সঙ্গে তালমিলিয়ে বাংলাতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতা ও শহরতলির জেলাগুলিতে করোনার বাড়বাড়ন্ত উদ্বেগে রেখেছে বাংলাকে। এরই মধ্যে রাজ্য সরকার আংশিক লকডাউন করে দিয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজ্যের বুকেও। দেশের সঙ্গে তালমিলিয়ে বাংলাতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতা ও শহরতলির জেলাগুলিতে করোনার বাড়বাড়ন্ত উদ্বেগে রেখেছে বাংলাকে। এরই মধ্যে রাজ্য সরকার আংশিক লকডাউন করে দিয়েছে। কিন্তু করোনা যে হারের রেলকর্মীদের উপর থাবা বসিয়েছে, তাতে পরিষেবা চালু রাখা নিয়ে তৈরি হয়েছে গভীর সংকট।
পূর্বরেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক হাজারেরও বেশি কর্মী কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ইতিমধ্যেই। ট্রেনের চালক, গার্ড থেকে শুরু করে টিটিই, আধিকারিকরা পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। এমনকী হাওড়া, বামনুগাছি, লিলুয়ার কারশেড কর্মীরাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এবার একেবারে রোল পরিষেবায় থাবা বসিয়ে দিয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ।
রেলের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১ সপ্তাহে পূর্ব রেলের এক হাজারেরও বেশি কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল ও মালদহ- প্রতিটি ডিভিশনেই করোনার থাবা পড়েছে। চালক থেকে শুরু করে আধিকারিকদের বড় অংশ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী গার্ডেনরিচ রোল হাসপাতালেও চিকিৎসক, নার্স-সহ শতাধিক করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও একাধিক রেলকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ফেল রেল পরিষেবা ব্যহত হয়েছিল প্রবলভাবে। ট্রেন কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল রেল। হাওড়া ও শিয়ালদহ দুই ডিভিশনেই ট্রেন কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবারও কি দ্বিতীয় ঢেউয়ের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে, আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের হানায়।
ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ মাত্র ৮-১০ দিনের মধ্যেই করোনার থাবায় রেল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে যাবার উপক্রম তৈরি হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষে একজন করোনা আক্রানত হয়েছিলেন শিয়ালদহ ডিভিশনে। মাত্র ১০ দিনে সেই সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখা যাচ্ছে অনেকেই ওমিক্রন আক্রান্ত।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে কিছুজনের উপসর্গ দেখে ওমিক্রন বলে সন্দেহ হয়েছিল। সেরকম সিগন্যাল ও টেলিকম বিভাগের ওই কর্মীর উপসর্গ দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের। এমন পাঁ-ছজনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে বিশালসংখ্যক কর্মী কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় রেল পরিষেবা চালু রাখা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে। এখন দেখার পরিস্থিতি কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়। প্রয়োজনে রেল পরিষেবায় কিছু কাটছাঁট করা হতে পারে বলে আভাসও মিলেছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তার উপর।