করোনা যুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর! একের পর এক আক্রান্ত সুস্থ
করোনা যুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর! একের পর এক আক্রান্ত সুস্থ
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর। এখনও পর্যন্ত নন্দীগ্রামের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের তিনটি জায়গা থেকে প্রাথমিকভাবে সংক্রমণের খবর পাওয়া গেলেও পরবর্তী সময়ে এখনও পর্যন্ত আর কোনও আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানুষজনও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
এগরার বিয়ে বাড়ি দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের সংক্রমণের শুরু
এগরার বিয়ে বাড়ি থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শুরু। কলকাতার বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ের এই বিয়ে বাড়ি থেকেই সংক্রমণ হয়। এরপর বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত থাকা ও পাড়ায় কারও জ্বর হয়েছে কিনা তার খোঁজ নিতে নামে স্থানীয় প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত এগরার ঘটনায় আরও ৩ জন আক্রান্তকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির নিজামুদ্দিনে গিয়ে আক্রান্ত হলদিয়া ডকের কর্মী
দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তবলিঘ-ই-জামাতের অনুষ্ঠান নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই হলদিয়া ডকের কর্মীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসে। এরপর সেখান থেকেই পাঁচজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। যদিও তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তমলুকের বল্লুকেও আক্রান্ত সুস্থ
তমলুকের বল্লুকে কলকাতা থেকে আসা এক আক্রান্তকে স্থানীয় কোয়াক ডাক্তারকে দেখানোর কারণে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। যদিও তিনি সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে।
জেলাশাসকের পাশে থেকে লড়াই শুভেন্দুর
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক করোনা মোকাবিলায় ভাল কাজ করেছেন। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী নিজে সামনে না থেকেই কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ, ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধিরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন।
অসহায়দের পাশে সাধারণ মানুষ
জেলা সদর তমলুক থেকে শিল্পশহর হলদিয়া এবং মহকুমা শহর কাঁথি, এগরা থেকে মহিষাদল, কোলাঘাট, মেছেদা, পাঁশকুড়া, সর্বত্র অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসেছেন। পরাধীন ভারতে দেশকে স্বাধীন করার লক্ষেই এই জেলায় স্বাধীন তামলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তার সঙ্গে তুলনা না করলেও করোনার সঙ্গে যুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর।
লকডাউন পিরিয়ডে শুধু পর্নসাইট দেখেছেন মানুষ! পরিসংখ্যানে কপালে উঠবে চোখ