শুভেন্দুর 'পথ' খুলতেই নিশানায় দিব্যেন্দু, 'প্রমাণ'-সহ রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি তৃণমূলের
শুভেন্দুর 'পথ' খুলতেই নিশানায় দিব্যেন্দু, 'প্রমাণ'-সহ রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি তৃণমূলের
ভোটের ফল বেরনোর পরেই পূর্ব মেদিনীপুর (east midnapur) জেলা তৃণমূল (trinamool congress) নেতৃত্ব এক প্রাক্তন বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে বহিষ্কার করলেও দিব্যেন্দু অধিকারীকে (dibyendu adhikari) নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হতেই তমলুকের সাংসদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করল রাজ্য নেতৃত্বের কাছে।
বিজেপির শক্তি কমে যাচ্ছে বাংলার বিধানসভায়, শুরুতেই ইনিংসে ইতি দুই বিধায়কের
তৃণমূল জেলা সভাপতির অবস্থান
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তাদের সুপারিষ রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
প্রমাণ আছে তৃণমূলের কাছে
জেলা তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতা জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন সৌমেন্দু এবং শিশির অধিকারী। কিন্তু দিব্যেন্দু সেভাবে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। কিন্তু তিনি ভোটের আগে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন। ওই নেতার অভিযোগ গোপনে দলবিরোধী কাজ করেছেন। পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন তিনি। সেই প্রমাণ তারা পেয়ে গিয়েছেন। সেই প্রমাণই তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই নেতা।
বলেছিলেন দল আমন্ত্রণ জানায়নি
১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তী সময়ে কাঁথিতে অমিত শাহের সভায় বিজেপির মঞ্চে ছিলেন শিশির অধিকারী। পরিবারের ছোট ছেলে সৌমেন্দু সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু দিব্যেন্দু অধিকারীকে বিজেপির মঞ্চে কিংবা বিজেপির পতাকা হাতে নিতে দেখা যায়নি। বরং তিনি বলেছিলেন তৃণমূলের তরফে তাঁকে প্রচারে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
ফল ঘোষণার পরেই বহিষ্কার ২ নেতা
বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র দলের জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানেই খেজুরির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ এঁরা দুজন বিজেপিতে যোগ না দিলেও নির্বাচনে বিজেপিকে সাহায্য করেছিলেন। সেই বৈঠকে দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে দিব্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে তার ইঙ্গিত মিলেছিল।
শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হতেই ব্যবস্থা
সোমবার বিজেপির তরফে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা অধিকারীর পরিবারের মেজো ছেলে শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তার পরেই জেলা তৃণমূলের তরফে দিব্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে সুপারিশ করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।