ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গ! অসমের পর উৎসস্থল সিকিমের ২৮ কিলোমিটার গভীরে
ভূকম্পনে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। রবিবার রাত ৮টা ৩৭ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনূভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৭ শতাংশ।
ভূকম্পনে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। রবিবার রাত ৮টা ৩৭ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনূভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৭ শতাংশ। প্রায় ৩৫ সেকেন্ড ধরে এই কম্পন অনূভূত হয়। আতঙ্ক ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বহু মানুষ। কম্পনের মাত্র কম থাকায় বড় কিছু ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল সিকিম। এর ফলে জলপাইগুড়ে, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। সিকিমের আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা জানান, রাত ৮টা ৩৭ মিনিট নাগাদ ৩৫ সেকেন্ড ধরে ভূমিকম্পে কেঁপেছে সিকিম। ৪.৭ কম্পন মাত্রায় এই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ২৮ কিলোমিটার।
এদিন কম্পন অনুভূত হতেই আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মানুষজন। কম্পন অনুভূত হয় ভারত-ভুটান সীমান্তেও। গত জানুয়ারিতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল অসম। এই ভূমিকম্পেরও রেশ পড়ে কলকাতা-সহ গোটা উত্তরবঙ্গে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ছাড়াও কলকাতাও কেঁপে ওঠে সেবার।
অসমের কোকরাঝাড় ছিল সেই ভূমিকম্পের উৎস্থল। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.২। অসম, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি কম্পন অনুভূত হয় ভুটান, নেপাল ও বাংলাদেশেও। কিছু জায়গায় বাড়ির গায়ে হাল্কা চিড় ধরে। ভূমিকম্প অল্প সময়ের জন্য হয়েছিল বলে তেমন কোনও বড়সড় প্রভাব পড়েনি। এবার ভূমিকম্প স্থায়ী হয়নি দীর্ঘক্ষণ। সেই কারণেই রক্ষা। তবে বারবার ভূমিকম্প হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন মানুষজন।