মেদিনীপুরে ডিওয়াইএফআই নেতাকে পিটিয়ে খুন, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে
ডিওয়াইএফআই নেতা খুনে নাম জড়াল তৃণমূল কংগ্রেসের। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের প্রহারে গুরুতর আহত হয়েই মৃত্যু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিওয়াইএফআই নেতা গৌতম মিত্রের।
ডিওয়াইএফআই নেতা খুনে নাম জড়াল তৃণমূল কংগ্রেসের। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক প্রহারের ফলেই মৃত্যু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিওয়াইএফআই নেতা গৌতম মিত্রের। একশো দিনের কাজ নিয়ে গৌতমবাবুর উপর চড়াও হন তৃণমূলের কয়েকজন। সোমবার খয়েরুল্লাচকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এদিন হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর অভিযোগ, রবিবার একশো দিনের কাজ নিয়ে শম্ভু দে নামে এক যুব সিপিএম নেতার সঙ্গে বচসা বাধে তৃণমূল নেতা শুভঙ্কর দে-র। সেদিনই তৃণমূল নেতা প্রাণনাশের হুমকি হুমকি দেয় শম্ভুকে। এরপর গৌতমবাবুকে নিয়ে শম্ভু থানায় অভিযোগ জানাতে যান। পরের দিন সেই আক্রোশই পড়ে গৌতমবাবুর উপর।
সোমবার সকালে গৌতমবাবু ও শম্ভু বসে চা খাচ্ছিলেন স্থানীয় একটি দোকানে। সেই সময় শুভঙ্কর দে ও তাঁর দলবল চড়াও হয় গৌতম ও শম্ভুর উপর। কেন তাঁদের নামে অভিযোগ জানানো হয়েছে থানায়, কৈফিয়ৎ চান শুভঙ্কর। তা নিয়েই বচসা বাধে। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন তৃণমূল নেতারা। তা অস্বীকার করায় শুরু হয় বেধড়ক প্রহার।
গুরুতর আহত অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গৌতম মিত্রকে। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার একটি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা শুভঙ্কের দে ও তাঁর দলবল। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
{promotion-urls}