উৎসবের মরশুমে সবজির দাম আকাশছোঁয়া, টান পড়েছে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে
দুর্গাপুজো শেষ। বাঙালির পকেট এখন প্রায় শূণ্য বললেই চলে। কিন্তু তা বলে কি সবজির দাম কমেছে? একেবারেই নয়। বরং শাক–সবজির দাম আরও ঊর্ধমুখী। সামনেই লক্ষ্মীপুজো, অথচ সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। চিন্তায় বাঙালিরা।

খোলা বাজারে জ্যোতি আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা, চন্দ্রমুখী আলু প্রতি কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, পেঁয়াজ এখনও হাতের নাগালের মধ্যে আসেনি তাই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা করে। অন্যদিকে আদার দামও বেশ বেশি প্রতি কেজি ১০০ থেকে ২০০ টাকা, ফুলকপি এক–একটা পিস ৩০ টাকা, উচ্ছে প্রতি কিলো ৬০ টাকা, মধ্যবিত্তের নিত্যদিনের সবজি বেগুন ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা করে প্রতি কেজি, টম্যাটো প্রতি কেজি ৬০ টাকা। এছাড়াও পেঁয়াজকলি, বাঁধাকপি, সীম, বরবটি, লাউ সব সবজির দামই মধ্যবিত্তের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে।
তবে আচমকা যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামে আগুন লেগেছে তেমনটাও নয়। করোনা ভাইরাস লকডাউনের পর আনলক পর্যায় শুরু হতেই আলু-পেঁয়াজ থেকে অন্যান্য শাক-সবজির দাম ক্রমশ চড়তে শুরু করে। আলুর দামে সামান্য লাগাম পড়লেও পেঁয়াজের দামে ঝাঁজ ক্রমশ চড়ছে। খুচরো ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখনই দাম কমার কোনও সম্ভাবনা তাঁরা দেখছেন না। অথচ মধ্যবিত্তের হেঁশেলে টান পড়েছে এই দামের জন্য। উৎসবের মরশুমে বাড়িতে বসেও ভালো–মন্দ খাওয়া–দাওয়া করাও ভাগ্যে নেই বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
