দুর্গাপুজোয় প্রথম বায়না হাতে পেলেও বড় অশনি সংকেত কুমোরটুলি জুড়ে! কোন আশঙ্কা শুরু
দুর্গাপুজোয় প্রথম বায়না হাতে পেলেও বড় অশনি সংকেত কুমোরটুলি জুড়ে! কোন আশঙ্কা শুরু
রথের রশিতে টান পড়ার সময় হয়ে এল! আর রথ মানেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়া! এই সমস্ত চেনা ছক ২০২০ সালে আর নেই! ২০২০ সাল করোনার বিষাক্ত বছর হিসাবে চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। যুগ দুটি পর্যায়ে ভাগ হয়েছে, একটি করোনা পরবর্তী ও অপরটি করোনা পূর্ববর্তী। আর ২০২০ সাল তার মাঝে দাঁড়িয়ে। এমন এক পরিস্থিতিতে কলকাতার পটুয়াপাড়ায় শুধুই দীর্ঘশ্বাস , গ্লানি আর আশঙ্কা।
করোনার আবহে প্রথম বায়না
৩ দিন আগেই কুমোরটুলি প্রথম ২০২০ সালে ঠাকুর গড়ার বায়না পেয়েছে। কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোটি প্রথম কুমোরটুলিতে ঠাকুর গড়ার বায়না দিয়েছে। দেরিতে হলেও এই বায়না পেয়েছে পটুয়া পাড়া। তবে সেখানের বিষন্নতার ছায়া সঙ্গী উদ্বেগ।
কেন উদ্বেগ?
প্রতি বছর এই সময় বিদেশ থেকে ঠাকুর গড়ার বায়না পেচ কুমোরটুলি। রঙ বাহারি আড়ম্বরে সেখানে বিভিন্ন ধাঁচে আধুনিকতায় মা দুর্গাকে সাজানোর কাজ চলত। কিন্তু এবার হতাশা। এখনও পর্যন্ত বিদেশ থেকে আসেনি একটিও বায়না। আর তার নেপথ্যে করোনার আসুরিক দংশন।
সমস্যা বাড়ছে
পটুয়াপাড়ার শিল্পীদের দাবি, লকডাউনের জেরে কাঁচামাল হাতে পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া যাচ্ছে না কারিগর। এমন পরিস্থিতিতে মা দুর্গাকে কীভাবে ঘরে আনবে বাঙালি! কীভাবে মূর্তি গড়ার কাজ হবে? কীভাবে বেড়ে চলা দামের সঙ্গে লড়াই করবে পটুয়া পাড়া?
লকডাউনের প্রভাব
লকডাউনের প্রভাব ক্রমেই দানবীয় আকার নিচ্ছে কুমোরটুলিতে। গোটা শহর জুড়ে শুধু করোনা আতঙ্ক। আর তার একপাশে কুমোরটুলি আতঙ্কে ভুগে চলেছে।
দুর্গাপুজো ঘিরে উদ্বেগ?
মনে করা হচ্ছে দুর্গাপুজো সংগঠিত করা নিয়ে জুন মাসের শেষের দিকেই কোনও একটি বার্তা আসবে। পুজো সংগঠনগুলিও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে তার আগে পর্যন্ত বাংলার পটুয়া পাড়ায় শুধুই হাহাকার। অর্থাভাব , কাজের অভাবের দুশ্চিন্তা।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ধামাচাপা দিতে শ্মশান তৈরি করছেন মমতা! কড়া ভাষায় আক্রমণ শান্তনু ঠাকুরের