প্রতিমার আকৃতি ছোট হলেও, থিমের ছোঁয়া থাকছেই কলকাতার পুজোয়
প্রতিমার আকৃতি ছোট হলেও, থিমের ছোঁয়া থাকছেই কলকাতার পুজোয়
বছরের শুরু থেকেই তৈরি হওয়া করোনা অতিমারি পরিস্থিতি এবং তারই দোসর আমফানের সাঁড়াশি চাপে বারোয়ারি পুজোর ভাবনায় ছেদ পড়েছিল। কিন্তু গত মাসে মুখ্যমন্ত্রীর পুজো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ইতিবাচক আশ্বাসবাণী এবং সর্বোপরি ৫০ হাজার টাকা অনুদান মনোবলকে বাড়িয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের।
উঠে পড়ে লেগেছেন শহরের পুজো উদ্যোক্তারা
শেষ
মুহূর্তে
মাক্স,
স্যানিটাইজার,
সামাজিক
দূরত্ব
ও
যথাযথ
স্বাস্থ্যবিধি
মেনেই
পুজো
পরিকল্পনায়
উঠে
পড়ে
লেগেছে
শহরের
পুজো
উদ্যোক্তারা।
প্রতিমার
আকৃতি
বহরে
ছোট
হলেও
পুজোর
থিমের
ভাবনা
থেকে
সরে
আসতে
চান
না
তারা।
জানা
গিয়েছে,
ফোরাম
ফর
দূর্গা
উৎসবের
তরফে
১৭
দফা
নির্দেশিকা
জমা
পড়েছে
প্রশাসনের
কাছে,
সেই
নিয়মাবলী
মেনেই
হবে
এবারের
পুজো।
মণ্ডপ হবে খোলামেলা
পুজো
মণ্ডপ
হবে
খোলামেলা,
থাকবে
মাস্ক-স্যানিটাইজার
এর
ব্যবস্থা,
মানা
হবে
সামাজিক
দূরত্ব,
মোতায়ন
থাকবে
পরিমাণ
মতো
স্বেচ্ছাসেবককর্মী।
সব
মিলিয়ে
দুর্গা
পুজো
হল
বাজার
অর্থনীতি
চাঙ্গা
করার
একটি
সোপান।
করোনা
পরিস্থিতিতে
পুজোর
ভাবনার
শামিল
উদ্যোক্তারাই।
'উৎসব
নয়,
মানুষের
পুজো।'
এটাই
এবছর
সুরুচি
সংঘের
পুজোর
থিমস্লোগান।
জাঁকজমক নয়
কোনওরকম
জাঁকজমক
নয়,
তবে
পুজোর
মধ্যে
থাকবে
নান্দনিক
ছোঁয়া।
এমনই
জানিয়েছেন
সুরুচি
সংঘের
থিম
শিল্পী
ভবতােষ
সুত্রান।
খুব
কম
সংখ্যক
লোক
নিয়ে,
সামাজিক
দূরত্ব
মেনেই
তৈরি
হবে
প্রতিমা
ও
মণ্ডপ।
কিন্তু
প্রতিটা
কাজেই
থাকবে
একটি
ভাবনা
ও
সুরুচির
স্পর্শ।
ডেকোরেটর,
ইলেকট্রশিয়ান,
ঢাকি
সব
পেশার
কর্মীদের
কাজে
রাখবেন
সুরুচির
পুজো
কমিটি।
সবাইকে
কাজ
দিতে
না
পারলেও
ঠকাবেন
না
এদের।
ঢাকি
ঢাক
বাজনা
সুমােগ
না
পেলেও
পুরানো
পারিশ্রমিক
পাবে।
পুজোর
আড়মর
কমিয়ে
মানুষের
সেবা
ও
স্বাস্থ্য
রক্ষায়
হবে
সুরুটির
প্রথান
প্রয়াস।
অন্যদিকে,
'বাজেট
নয়,
পকেটমানি
থেকেই
চলবে
এবারের
পুজোর
খরচ।'
এটাই
ঢাকুরিয়া
বাবুবাগান
ক্লাবের
সম্পাদক
সরােজ
ভৌমিকের
বক্তব্য।
সরোজ
বাবু
জানান,
গত
২০
বছর
ধরে
থিম
পুজোর
জয়জয়কার।
প্রতিবার
পুজো
শেষ
হতে
না
হতেই
পরের
বছরের
থিমের
পরিকল্পনা
শুরু
হয়ে
যায়।
এতসব
পরিকল্পনা
বানচাল
করা
সম্ভব
নয়।
কিছুটা
বাজেট
কমিয়ে
থিমের
পুজোই
হবে
এবারও
বাবু
বাগানে।
ওই
ক্লাবেরই
হিসাবরক্ষক
সুজাতা
গুপ্ত
থিম
পরিকল্পনার
ভার
নিয়েছেন।
দক্ষিণ
২৪
পরগনা
ও
বর্ধমানের
শিল্পসংস্কৃতি
নিয়েই
এবারের
থিম।
দুই
জেলার
শিল্পী
কারিগরদের
নিয়ে
এসে
তৈরি
হবে
মন্ডপ।
গ্রামবাংলার
কারিগররা
কলকাতার
পুজো
কমিটির
ডাক
পাওয়ার
অপেক্ষায়
বলে
থাকে।
পুজোর
কাজটাই
ওদের
সারা
বছরের
রুটিরুজি।
সরোজবাবুর
মতে,
লোকশিল্পকে
বঁচিয়ে
রেখে
ওই
দিন
আনি
দিন
খাই
কারিগরদের
মুখে
হাসি
ফোটানোই
কর্তব্য।
বেলেঘাটা
৩৩
পল্লীর
এবার
২০
তম
বর্ষের
পুজো।
এবার
পুজোর
জাঁকজমক
হবে
না
ঠিকই,
তবে
থাকছে
থিমের
বাহার।
শিবশঙ্কর
দাসের
ভাষায়
ও
পরিকল্পনায়
মণ্ডপ
সেজে
উঠবে।
প্রতিমা
বেশি
বড়
হবে
না।
মন্ডপের
প্রবেশপথ
ও
প্রশস্ত
হবে
ফোরামের
নির্দেশ
মেনেই।
আলোর রোশনাই থাকবে কি?
আলোর
রোশনাই
সাজবে
মন্ডপ
তবে
তুলনায়
কম।
যদি
দিনের
বেলাতেও
মণ্ডপসজ্জা
দেখতে
দর্শক
না
আসে।
তার
জন্য
এই
ক্লাবের
নিজস্ব
ওয়েবসাইট
ও
ফেসবুক
লাইভ
থেকে
মণ্ডপসজ্জা
দেখানাে
হবে।
এতে
মণ্ডপে
ভির
কম
হবে
বলেই
বিশ্বাস
পুজো
কমিটির।
থিম
পুজোকে
ঘিরে
প্রতিবছর
যে-সব
সরকারি
ও
বেসরকারি
প্রতিযােগিতা
চলে
দিনভর,
এবছর
সে-সব
চালানাে
সম্ভব
কিনা
সে
বিষয়ে
এখনও
কোনও
সিদ্ধান্ত
হয়নি।
তাও
একটা
নির্দিষ্ট
ভাবনাকে
অবলম্বন
করেই
দুর্গাপুজোর
মন্ডপ
শয্যায়
আগ্রহী
হিন্দুস্থান
পার্ক
সার্বজনীন।
সাধারণ
সম্পাদক
সুতপা
দাস
জানান,
এক-চতুর্থাংশ
বাজেট
নিয়ে
পুজো
হবে
এবার।
আলোক
সজ্জা,
প্রতিমা,
মন্ডপ
সবকিছুর
দায়িত্বে
শিল্পী
পিন্টু
দাস।
হবে
না
কোন
উদ্বোধনী
অনুষ্ঠান
বা
বিজয়া
সম্মেলনী।
বিধি মেনে পুজো
তবে
পুষ্পাঞ্জলী
ও
সন্ধিপুজো
কিভাবে
দূরত্ব
বিধি
মেনে
সম্ভব
সে
বিষয়ে
চিন্তিত
সব
উদ্যোক্তাই
তবে
পুজোমণ্ডপে
ভিড়ের
কারণে
যাতে
সংক্রমণ
না
বাড়ে
সেটাই
প্রধান
বিবেচ্য।
খিদিরপুর
২৫
পল্লী
সম্পাদক
কাজল
ব্যানার্জি
জানান,
একেবারে
বাদ
দেওয়ার
পক্ষপাতিত্ব
নয়।
একে
ঘরবন্দী
মানুষ।
বিশেষ
করে
ছোটরা
খুব
মনমরা।
এদের
মনে
আনন্দ
দিতে
ও
পুজো
মণ্ডপ
একটু
চিত্তাকর্ষক
হওয়া
প্রয়োজন
বলে
মনে
করেন
কাজল
বাবু।
২৫
পল্লীর
২৫0
জন
সদস্য
নিজেরাই
চাঁদা
তুলে
পুজোর
আয়োজনে
উদ্যোগী
হয়েছেন।
বড়
কোনো
বিজ্ঞাপন
বা
পৃষ্ঠপোষক
পাওয়ার
কোন
সম্ভাবনা
নেই,
ভবানীপুর
'অবসর'
অবশ্য
একেবারে
পূজার
খরচ
কমিয়ে
আনবে।
সম্পাদক
শ্যামল
নাগ
জানান,
৮
থেকে
৯
লক্ষ
টাকার
মধ্যেই
পুজো
সারা
হবে।
এ
বছর
এর
মধ্যেই
থাকবে
ছোট
করে
থিমের
ছোয়া।
শিল্পি
শিব
শংকর
দাস
নিজেও
কোনো
পারিশ্রমিক
নেবেন
না।