
সুরুচিতে মণ্ডপে প্রবেশ করে বিপাকে নুসরত, মহুয়া, সৃজিত! হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য ঘিরে আইনি পদক্ষেপ
করোনার আবহে পুজো মণ্ডপে প্রবেশ থেকে মানুষকে বিরত করে, সেখানে 'নো এন্ট্রি'র নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে গতকাল সুরুচি সংঘের মণ্ডপে নুসরত থেকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়দের দেখা যায় ঢাক বাজাতে। এরপরই কয়েকজন সেলেবের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন অজয় কুমার দের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।

অষ্টমীতে মণ্ডপে প্রবেশ ও আইনি পদক্ষেপ
করোনার আবহে হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও, শনিবার অষ্টমীর দিন সুরুচি সংঘের মণ্ডপে দেখা যায়, নুসরত জাহান, সৃজিত মুখোপাধ্যায়দের ঢাক বাজাতে। সৃজিতের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী মিথিলাও। তৃণমূল সাংসদ নুসরত ছাড়াও দলের অপর সাংসদ মহুয়া মৈত্রকেও দেখা গিয়েছে মণ্ডপে প্রবেশ করতে। তারপরই অজয় কুমার দের তরফে তাঁদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করা হয়।

মামলাকারীর দাবি
এদিনে মামলাকারীর দাবি, হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তা সকলের মেনে চলা উচিত। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধি ও সেলেবদের এই বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত ছিলষ আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা সবটাই নজরে রাখছি, যিনিই নির্দেশ অমান্য করবেন ,তাঁর বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নেব।'

এর আগে কী ঘটেছে
সুরুচি সংঘের পুজোয় মহাষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়ার পর ঢাক বাজান নিখিল জৈন ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে সুরুচি সংঘের মণ্ডপে ঢাক বাজিয়েছেন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা সেখানে ছিলেন। মহাষ্টমীর পুজো দেখেন নুসরত ও মিথিলা। পুজোয় অংশও নেন তাঁরা।

মামলাকারীদের দাবি
মামলাকারীদের দাবি, পুজো মণ্ডপে মহুয়া বা নুসরতরা অঞ্জলি দিতেই পারেন তাঁরা যদি সেই পুজোর উদ্যোক্তা হন তবেই। তবে যেহেতু সুরুচি সংঘের পুজোর এলাকার বাসিন্দা তাঁরা নন, তাই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যদিও নুসরতের মুখপাত্রের দাবি, তিনিন তিন বছর ধরে সুরুচি সংঘের সদস্য। সেক্ষেত্রে তিনি ভুল করেননি। এমনকি সৃজিতও সুরুচির সদস্য বলে খবর।
কলকাতা থেকে জেলা - বাংলার দুর্গাপুজোর নানা মুহূর্তের ছবি দেখুন একনজরে
{quiz_399}