সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গা প্রতিমা শুধু ৫০ কেজি সোনা নয়, সেজে উঠেছে আরও অনেক কিছুতে
পুজোয় থিমের লড়াইয়ে যখন কোমর বেঁধেছে কলকাতার পুজো উদ্যোক্তারা তখনই কঠিন যুদ্ধে না গিয়ে একেবারে অন্য লড়াইয়ে সেরার সেরা মধ্য কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার।
পুজোয় থিমের লড়াইয়ে যখন কোমর বেঁধেছে কলকাতার পুজো উদ্যোক্তারা তখনই কঠিন যুদ্ধে না গিয়ে একেবারে অন্য লড়াইয়ে সেরার সেরা মধ্য কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। ৮৪ তম বর্ষে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দেবী দুর্গা মুড়ছে ৫০ কেজি সোনায়। মায়ের গায়ে উঠছে ১১০ কেজি রুপোর গয়নাও।
শুধু সোনা রুপোর প্রতিমাই নয়, প্যান্ডেলেও থাকবে চমক। শিল্পী দীপক ঘোষের শিল্প রূপায়নে মায়াপুরের প্রস্তাবিত একটি মন্দিরের আদলে তৈরি হবে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মণ্ডপ। মন্দিরের আদলে ওই মণ্ডপ প্রায় ১০ টন কাচ দিয়ে তৈরি হবে। সোনার দুর্গার রূপ দিচ্ছেন শিল্পী মিন্টু পাল। 'খাঁটি সোনা' দিয়ে ১৩ ফুটের ওই দুর্গা তৈরি করতে প্রায় ২০ কোটি টাকা লাগবে বলে শিল্পী জানান। মায়ের আপাতমস্তক মোড়া থাকবেন সোনা দিয়ে।
পুজো উদ্যোক্তারা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন ময়দানে। সেই লড়াইয়ে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এবারের চমক, সোনার দুর্গা। এই পুজোর সভাপতি কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ প্রদীপ ঘোষ। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি পুজোর সঙ্গে জড়িত। তবে গত কয়েক বছর ধরে পুজোর সব দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন সজলবাবু।
এ বিষয়ে পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ জানান, 'আমরা প্রতি বছরই নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। এ বার আমাদের চমক সোনার দুর্গা। মণ্ডপ এবং প্রতিমা দেখে দর্শকেরা মুগ্ধ হবেন। মায়ের এই বিশেষ অঙ্গসজ্জার জন্য প্রয়োজনীয় সোনা সরবরাহ করছে স্বর্ণ ব্যবসার আড়ত বউবাজার। তিনি আরো জানান, 'দামী প্রতিমা, তার উপর বিশাল মণ্ডপ তাই নিরাপত্তার বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এর আগেও রুপোর রথে করে মা এসেছিলেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয়। দেবী দুর্গাকে সাজানো হয়েছিল সোনার শাড়িতে। সেবার শাড়ি তৈরিতে লেগেছিল প্রায় ২২ কেজি সোনা।