২৪২ বছরের পুরনো মহিষাদল রাজবাড়ির পুজো, জড়িয়ে তোপধ্বনির আভিজাত্যের ইতিহাস
ইতিহাসের টানে এবার পুজোর একদিন ডেস্টিনেশন হোক মহিষাদল রাজবাড়ি। অন্য স্বাদের বনেদি বাড়ির পুজো দেখতে এবার পুজোয় ঢুঁ মেরে আসুন মহিষাদল রাজবাড়িতে। এবছরে এবাড়ির পুজো পা দিল ২৪২ তম বর্ষে।
ইতিহাসের টানে এবার পুজোর একদিন আপনার ডেস্টিনেশন হোক মহিষাদল রাজবাড়ি। অন্য স্বাদের বনেদি বাড়ির পুজো দেখতে এবার ঢুঁ মেরে আসুন মহিষাদল রাজবাড়িতে। এবছরে এবাড়ির পুজো পা দিল ২৪২ তম বর্ষে।
পুজো শুরু কবে
মেদিনীপুর শহর থেকে কিছুটা দূরেই মহিষাদল। সেখানেই রয়েছে মহিষাদল রাজবাড়ি। মহিষাদল পরগনার রাজা আনন্দলাল উপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর স্ত্রী জানকী দেবী সিংহাসনে বসেছিলেন। বর্গি আক্রমণ ঠেকাতে তৈরি করেছিলেন নারী বাহিনী। সেই রানি জানকী দেবীর হাতেই ১৭৭৮ সালে মহিষাদল রাজবাড়িতে দুর্গা পুজো শুরু। এ বাড়ির পুজো এখনও দুই মেদিনীপুর জেলার মানুষের কাছে অনেক আবেগের। মহিষা দল রাজবাড়িতে সাবেকি প্রতিমার ডাকের সাজ। বৈষ্ণব মতেই পুজো হয়। এই রাজবাড়িতে ১০৮টি নীলপদ্মে দুর্গা পুজোর রীতি রয়েছে।
পুজোর বিশেষ কিছু রীতি
এবাড়ির পুজোর রীতি আকর্ষণীয়। বিশেষ করে দেবীকে ভোগ দেওয়ার বিশেষ নিয়ম বংশ পরম্পরায় মেনে আসা হচ্ছে। আগে প্রতিপদে এক মণ থেকে নিয়ম মেনে নবমীতে নয় মণ চাল, অর্থাৎ তিথি মেনে সেই অনুপাতে দেবীকে ভোগ দেওয়া হত। সেই বৈভব অবশ্য এখন আর নেই। নিয়ম বদলে ফেললেও শিকরের সেই পরম্পরা ধরে রেখেছে এই রাজবীড়ি। এখনও অষ্টমীর দিন দেবীকে আট মণ চালের ভোগ দেওয়া হয়। আগে অষ্টমী ও নবমী তিথির সংযোগস্থল অর্থাৎ সন্ধি পুজোর তিথিতে কামান দাগার চল ছিল। পরে সরকারের শব্দদূষণের নিয়মে সেই রীতি এখন লোপ পেয়েছে। তবে রাজবাড়িতে আজও সেই কামান রয়েছে। যদিও তাতে কোনও তোপধ্বনি হয় না। বাজির শব্দে এখন সন্ধিপুজো হয়।
প্রতিমার বিসর্জন রীতি
আগে শোভাযাত্রা করে প্রতিমা বিসর্জন হত। রাজবাড়ির সামনে শোভাযাত্রা করে রূপনারায়ণ নদীতে ঠাকুর বিসর্জন দেওয়ার রীত ছিল। এখন অবশ্য সেই জৌলুস কমেছে। এখন রাজবাড়ি লাগোয়া দিঘিতেই প্রতিমা বিসর্জন হয়ে আসছে।