বালুরঘাটের সাহা বাড়িতে কার্তিক-গণেশের জায়গা বদল, জানুন ১৭৭ বছরের ইতিহাস
বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে বালুরঘাটের সাহা বাড়ির পুজোও অন্যতম। প্রায় ১৭৭ বছরের পুরনো এই পুজো। এই পূজার প্রতিষ্ঠাতা বনমালী সাহা রায়।
বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে বালুরঘাটের সাহা বাড়ির পুজোও অন্যতম। প্রায় ১৭৭ বছরের পুরনো এই পুজো। এই পূজার প্রতিষ্ঠাতা বনমালী সাহা রায়। তিনি বাংলাদেশের পাবনা জেলার জামাত্তার বাসিন্দা ছিলেন। বাংলাদেশ থেকে তিনি জলপথে বালুরঘাটে ব্যবসা করতে আসতেন। এরপর স্বপ্নাদেশ পেয়ে বালুরঘাটের বিশ্বাসপাড়ায় মা দুর্গার পুজো শুরু করেন। সেই থেকে সাহা বাড়িতে দেবী দুর্গার পুজো হয়ে আসছে।
বর্তমানে এদের উত্তরসূরী কালী কৃষ্ণ সাহা রায় এই পূজা করে আসছেন। পাঁচটা দুর্গা পূজার থেকে সাহা বাড়ির দুর্গার মূর্তি একদমই আলাদা। এখানে দেবী দুর্গার স্থান অপরিবর্তিত থাকলেও গনেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন হয়েছে। দুর্গার ডান দিকে গনেশের থাকার কথা থাকলেও বা দিকে থাকে। আবার ঠিক বা দিকে কার্তিকের থাকার কথা থাকলেও দুর্গার ডান দিকে থাকে।
এছাড়াও বংশ পরমপরা অনুসারে সাহা বাড়ির দেবীর পুজোতে পুরোহিত পূজো করে আসছেন। মৃৎশিল্পীরা তাদের মতো করে প্রতিমা গড়ে আসছেন। জানা গিয়েছে, বনমালী সাহা যখন এই পূজা করতেন তখন মৃৎশিল্পী অন্য দুর্গা প্রতিমার মতো সাহা বাড়ির দুর্গা প্রতিমা করেছিলেন। কিন্তু পরদিন সকালে সবার নজরে আসে গণেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। মৃৎশিল্পী তাদের পুনরায় তাদের স্থান পরিবর্তন করান। কিন্তু পরদিন সকালে গনেশ ও কার্তিকের আবার স্থান পরিবর্তন হয়ে যায়।
[ আকাশের মুখ ভার, মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের]
এই দেখে বনমালী সাহা নির্দেশ দেন এই ভাবেই মায়ের পুজো হবে। সেই থেকে একই নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে সাহা বাড়ির দুর্গা পূজা হয়ে আসছে। এছাড়াও মন্থন ষষ্ঠীতে প্রতিমা তৈরি শুরু হয়। মহালয়ার দিনই মায়ের চক্ষুদান হয়। পাশাপাশি এই পুজোয় অন্নভোগ হয় না। এখানে পরমান্ন ভোগ হয়। পুজোর ক'দিন নিরামিশ ভোজন করা হয়।