শততম বর্ষে দমদম নাগের বাজারের থিম 'কেরলের বন্যা', কোন বার্তা দিচ্ছে এখানকার পুজো
কেরলের বন্যা বিধ্বস্ত মানুষকে সহযোগিতার জন্য 'বাংলার' পুজোর সঙ্গে তাদের যুক্ত করার অভিনব উদ্যোগ নিল নাগের বাজার সার্বজনীন পুজো কমিটি।
কেরলের বন্যা বিধ্বস্ত মানুষকে সহযোগিতার জন্য 'বাংলার' পুজোর সঙ্গে তাদের যুক্ত করার অভিনব উদ্যোগ নিল নাগের বাজার সার্বজনীন পুজো কমিটি। পুজো উদ্যোক্তাদের মতে, বিশাল অঙ্কের অর্থ দিয়ে কেরলের বন্যা বিধ্বস্ত মানুষকে সাহায্য করার সামর্থ্য আমাদের নেই। তাই কেরলের শিল্প-সংস্কৃতি সম্পর্কে বাংলার মানুষকে অবগত করতে এবং বন্যা বিধ্বস্ত কেরলের পাশে দাঁড়াতে নাগের বাজার এলাকার নাম করা এই পুজো কমিটি নাগেরবাজার সার্বজনীন, তাদের দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরবে কেরলের বিভিন্ন শিল্প সংস্কৃতি।
এবার
শতবর্ষে
পা
দেওয়া
নাগেরবাজার
সার্বজনীনের
শিল্পীরা
হলেন
সৌরজিৎ
বন্দোপাধ্যায়
এবং
অভিষেক
ভট্টাচার্য।
টালা
বারোয়ারির
সাধারণ
সম্পাদক
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়
নিছক
'প্যাশন'
থেকেই
এবারের
শিল্পী
রূপে
পুজোর
আঙিনায়।
শিল্পী-দ্বয়
জানিয়েছেন,
'ইতিমধ্যেই
একাধিক
বার
তাঁরা
কেরলে
গিয়েছেন
দুর্গতদের
সাহায্যার্থে,
পাশে
দাঁড়াতে।
কিন্তু
তাঁরা
দেখেছেন
এইভাবে
তাদেরকে
সাহায্য
করা
কঠিন
হয়ে
যাচ্ছে।
তাই
কেরলের
শিল্প-সংস্কৃতিকে
কাজে
লাগিয়ে
যদি
তাদেরকে
পুজোর
সঙ্গে
যুক্ত
করা
যায়।
এই ভাবনা চিন্তা থেকেই কেরলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন শিল্পীদ্বয়। দেখে এসেছেন কেরলের শিল্প সংস্কৃতি। আার তার পরেই শিল্প সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ কেরলকে পুজোর আঙিনায় এনে কলকাতার প্রেমীদের সামনে তুলে ধরার এই নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা।
এবারের তাদের স্লোগান থাকছে, 'একশোয় একশো।' খুঁটি পুজোর আগে থেকেই শতবর্ষে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া এই এলাকার নাম করা পুজো কমিটি। ২০১৮ র পুজোয় 'একশোয় একশো' পেতে জোর কদমে কাজে নেমে পড়েছেন পুজো কমিটির কর্মকর্তারা। সেই মতো চলছে বিভিন্ন প্রচারও। স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্টার- হোর্ডিং-ব্যানার সবকিছু নিয়ে উদ্যোক্তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
শতবর্ষের পুজোয় নতুন চমক দেওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু হঠাৎই কেরলের বন্যা বিপর্যয়ের ঘটনা শিল্পী তথা কর্মকর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল। কিন্তু সব উপেক্ষা করে কেরলের শিল্পীদের বাংলার পুজোয় যুক্ত করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পুজো কর্মকর্তারা। জানিয়েছেন, 'আমরা যে ভাবে কেরলকে সাহায্য করছি সেভাবে আর বিশাল অংকের অর্থ দিয়ে বন্যা বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই তাদের এলাকার মানুষদের সংযুক্ত করে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। আশা করি এতে কিছুটা হলেও ওদের পাশে দাড়ানো যাবে।' এভাবেই কেরলের মানুষের পাশে থাকতে পেরে খুশি উদ্যোক্তারা।
এদিকে পুজো মানেই বাঙালির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে ঘুরতে যাওয়া। তা সে দিঘা মন্দারমণি হোক বা দার্জিলিং! উত্তরপূর্ব ভারত হোক বা দিল্লি! সাম্প্রতিক বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, দিঘা-পুরী-দার্জিলিং সংক্ষেপে 'দিপুদা'র থেকে বর্তমানে বাঙালির কাছে অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কেরল, হিমাচলপ্রদেশ, কাশ্মীর, আন্দামান । কিন্তু এই জায়গাগুলোর ভ্রমণ খরচ নেহাতই কম নয়। মধ্যবিত্তের পরিবারের পক্ষ যথেষ্ট দুর্বিষহ। তাই এক্কেবারে বিনে পয়সায় যদি সেখানের না জানা শিল্প সংস্কৃতি জানা যায় তা হলে মন্দ কী !