মুখ্যমন্ত্রীর ২০০ কোটির ফান্ড নিয়ে প্রশ্ন! করোনায় অডিট কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি লকেটের
সারা দেশ করোনা নিয়ে মানুষকে সত্যি জানালেও, পশ্চিমবঙ্গে তার উল্টো রাস্তায় হাঁটছে। এদিন এমনটাই অভিযোগ করলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
সারা দেশ করোনা নিয়ে মানুষকে সত্যি জানালেও, পশ্চিমবঙ্গে তার উল্টো রাস্তায় হাঁটছে। এদিন এমনটাই অভিযোগ করলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। মানুষ জানতে পারলে সতর্ক হতে পারে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সরকার তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে কেন্দ্রীয় দলের চাপে সত্য সামনে এসে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা নিয়ে কলঙ্কের রাজনীতি
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে করোনা নিয়ে কলঙ্কের রাজনীতি চলছে। কেন্দ্রীয় সরকার রেশন পাঠালেও রাজ্য তা দেওয়া হচ্ছে না। রেশন চলে যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে।
অডিট কমিটি নিয়ে কেন্দ্রের তদন্তের দাবি
রাজ্য সরকার করোনায় মৃত্যু নিয়ে অডিক কমিটি তৈরি করেছে। দিন দুয়েক আগে মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, অডিট কমিটির সামনে ৫৭ টি ঘটনা রাখা হলেও, তাঁর মধ্যে শুধুমাত্র করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। বাকিদের করোনা পজিটিভ হলেও, অন্য রোগের কারণের তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, অডিট কমিটি নিয়ে কেন্দ্রের তদন্ত হওয়া উচিত। কিসের ভিত্তিতে এই অডিট কমিটি এবং কেন মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন লকেট।
মুখ্যমন্ত্রীর ২০০ কোটির ফান্ড নিয়ে প্রশ্ন
লকেট চট্টোপাধ্যায় করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ২০০ কোটির ফান্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর প্রশ্ন ফান্ডের টাকা কই, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তো বিভিন্ন থানা থেকে ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের তরফ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার বিমা করানো হয়েছে। কিন্তু আদৌ তার পরিস্থিতি কী, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
মৃত বা আক্রান্ত ব্যক্তির এলাকা ঘোষণা না করার অভিযোগ
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে কিংবা মারা গেলে সেই এলাকার নাম ঘোষণা করা হচ্ছে না। যদি করা হত তাহলে স্থানীয় মানুষ সতর্ক হয়ে যেতে পারতেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বাজারে কেন লকডাউন হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বাজার বন্ধের কথা বললে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি আদৌ ভোটে জিততে পারবেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।