সরকারি হাসপাতালের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা! কালনায় ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা
প্রথমে করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়া। ফিরে ফের হৃগরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত্যু হওয়া। সৎকারের পর করোনা রিপোর্ট পজিটিভি। যার নিয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালে বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞান
প্রথমে করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়া। ফিরে ফের হৃগরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত্যু হওয়া। সৎকারের পর করোনা রিপোর্ট পজিটিভি। যার নিয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালে বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ উঠছে। যা নিয়ে ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাংলার কন্যাশ্রীদের গুরুত্ব যুবশক্তিতে! স্বাধীনতা দিবসে ৬ জেলায় যুবযোদ্ধাদের বিশেষ শপথ
হাসপাতালের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা
হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন প্রবীণা রোগী। রিপোর্ট আসার আগে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। পরেরদিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ফের হাসপাতালের এইচডিইউতে ভর্তি। কয়েক ঘণ্টা মধ্যে মৃত্যু। দেহ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হল পরিবারকে। দাহ করা হল হিন্দু রীতি মেনে। পরেরদিন হাসপাতালের এক পরিচিতর মাধ্যমে জানা গেল মৃত করোনা পজিটিভ। তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন সবার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এটাই পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা হাসপাতালের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ছবি। হাসপাতালের গাফিলতি, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা কেন তার সদুত্তর দিতেই পারেননি হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই। এইচডিইউতে ক্রিটিকাল রোগীরা চিকিৎসাধীন। এছাড়াও রোগী, চিকিৎসক, নার্সদের সুরক্ষা নিয়েও তো প্রশ্ন উঠেছে।
যেভাবে মৃত্যু হল বয়স্ক মহিলার
গত ১ অগাস্ট সেরিব্রাল অ্যাটাকের কারণে পূর্ব সাতগেছিয়ার সুনীতি চট্টোপাধ্যায় (৬৭)-কে ভর্তি করা হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় এইচডিইউতে। মৃতের পুত্র সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ৪ অগাস্ট তাঁর মায়ের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা দেহ ছাড়া পর্যন্ত হাসপাতাল তা নিয়ে কিছুই জানায়নি। এর মধ্যে ৭ অগাস্ট তাঁর মাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরদিন ফের হার্ট অ্যাটাক হলে আবার ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
উঠছে নানা প্রশ্ন
প্রশ্ন উঠছে, যাঁর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হলো তাঁকে কেনই বা হঠাৎ হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হলো? কেন রিপোর্ট আসা পর্যন্ত মৃতদেহ হাসপাতালে রাখা হলো না? কেনই বা করোনা সন্দেহভাজনের দেহ ভালোভাবে প্লাস্টিকে মুড়ে দেওয়া হলো না। কেন অন্তত মৃত্যুর আগে র্যাপিড টেস্ট করানো হলো না?
মৃত্যুর তারিখ নিয়েও বিভ্রান্তি
সরকারিভাবে করোনা পজিটিভের তালিকায় দেখানো হচ্ছে ওই প্রবীণা মারা গিয়েছেন ৮ অগাস্ট। অথচ ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর সময় ৯ আগস্ট ভোর। পরদিন রাত পর্যন্ত হাসপাতাল বা প্রশাসন মৃতার পরিবারকে গোটা ঘটনা জানাল না কেন? ওই পরিবার হাসপাতালের এক কর্মীর কাছে জেনে ব্যক্তিগতভাবে গিয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালে র্যাপিড টেস্ট করায়। শেষযাত্রায় সঙ্গী হওয়া কয়েকজনেরও এই পরীক্ষা করানো হয়। তবে এখনও অনেকের পরীক্ষা হয়নি।