বাংলায় বেকারত্বের হার অনেক কম দাবি অর্থমন্ত্রীর, সিএমআইই-র তথ্যে প্রকাশ্যে এলো সত্যিটা
বাংলায় বেকারত্বের হার অনেক কম দাবি অর্থমন্ত্রীর, সিএমআইই-র তথ্যে প্রকাশ্যে এলো সত্যিটা
করোনা সংক্রমণে গোটা দেশে বেকারত্বের হার হু হু করে বেড়েছে। অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। একাধিক সংস্থায় কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার অনেকটাই কম এমনই দাবি করেছেন রাজ্যে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
রাজ্যে বেকারত্ব অনেক কম
করোনা সংক্রমণের কারণে রাজ্যে বেকারত্ব বেড়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরে আসায় সেই সংখ্যা যে বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করেছেন দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার অনেকটাই তম। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি(CMII) বা সেমি-র পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যে বেকারত্বের হার ১৭.৮১ শতাংশ। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় তা অনেকটাই কম। টুইে এমনই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
কি বলছে সিএমআইই-র পরিসংখ্যান
করোনা লকডাউনের কারনে গোটা দেশেই কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়েছে। সবরাজ্যেই অর্থনীতি বিপুল পরিমানে ধাক্কা খেয়েছে। মে মাসের পরিসংখ্যান বলছে গোটা দেশে সর্বাধিক বেকারত্ব দেখা গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে। সেখানে বেকারত্বের হার মে মাসে ৫৯.২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পণ্ডিচেরি। সেখানে বেকারত্বের হার ৫৮.২ শতাংশ। তারপরে বিহার ৪৬.২ শতাংশ এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে দিল্লি। যেখানে বেকারত্বের হার ৪৪.৯ শতাংশ।
পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার কত
সিএমআইআই-র পরিসংখ্যান বলছে মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের হার ১৭.৪ শতাংশ। কিন্তু মে মাসের পর সেই পরিসংখ্যান বেড়েছে। কারণ পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। যার জেরে গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের হার বেড়েছে। জুন মাসের শুরুতে গ্রামাঞ্চলের বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১. ৯৫ শতাংশ।
২০১৯ থেকে বেড়েছে বেকারত্বের হার
২০১৯ সালে যেখানে জুন মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৮৭ শতাংশ। করোনা লকডাউনের জেরে সেই পরিসংখ্যান মে মাসেই বেড়ে হয়েছে ২৩.৮৪ শতাংশ। শহরাঞ্চলে সেই হার আরও বেশি। ২৫.৭৯ শতাংশ।
বিরাট দলবদল রাজ্যে! বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে কয়েকশো নেতা-কর্মী