করোনায় পিছোতে পারে ভোট! ২০২১-এর ভোটে সরকারে ফেরা নিয়ে ধন্দে তৃণমূল
২০২১-এর ভোটে সরকারে ফেরা নিয়ে ধন্দে তৃণমূল
পশ্চিমবঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ে বিধানসভা নির্বাচন হলেও, এখনও কয়েকমাস বাকি আছে। যদিও সেদিকে তাকিয়েই এগিয়ে চলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছেন, তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরলে ফ্রিতে রেশন দেওয়া হবে। যদিও বিরোধীরা তৃণমূলের সরকারে ফেরা নিয়েই কটাক্ষ শুরু করে দিয়েছেন।
করোনা সংকটে গোটা দেশ
করোনার সংকটে গোটা দেশ। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। দিল্লির পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, বাকি রাজ্যগুলির পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেপ্টেম্বর- অক্টোবরের আগে করোনার গ্রাফ সোজা হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই।
এ বছরের শেষে ও আগামী বছরের শুরুতে যেসব রাজ্যে ভোট হওয়ার কথা
নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুসারে এবছরের নভেম্বরে ভোট হওয়ার কথা বিহারে। এরপর আগামী বছরের শুরু থেকে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, পুদুচেরি-সহ ৪ রাজ্যে ভোট। কিন্তু পরিস্থিতি যা, তাতে এইসব রাজ্যগুলিতে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট সময়ে ভোট করানোই খুব চ্যালেঞ্জের। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সূত্র থেকে যা জানা যাচ্ছে, তাতে নভেম্বরে বিহারে ভোট হবে না। শুধু তাই নয়, বাকি রাজ্যগুলির ভোটও পিছিয়ে যাতে পারে, করোনা আবহে।
ভোট হতে পারে ২০২১-এর নভেম্বরে
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, পরিস্থিতি যা, তাতে আগামী বছরের নভেম্বরে ভোট হতে পারে। ততদিনে একদিকে যেমন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে, অন্যদিকে রাজ্যগুলিতে মিছিল, প্রচারে আর সেরকম কোনও বিধিনিষেধও থাকবে না।
সুবিধা বিজেপির
যদি ভোট পিছিয়ে যায়, তাহলে এর পুরো সুবিধা পাবে বিজেপি। কারণ রাজ্যগুলিতে জারি হবে রাষ্ট্রপতি শাসন। আর রাজ্যপালের অধীনে ভোট হবে রাজ্যে রাজ্যে। তাতে বিজেপি যে একটা ফায়দা তুলবে, তা বলাই বাহুল্য। কেননা পশ্চিমবঙ্গের কথা উল্লেখ করে বলা যায়, ভোটে বামেরা যেমন পুলিশের সুবিধা নিয়েছে, তেমনই তৃণমূলও সেই সুবিধা নিয়েছে। তেমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ধন্দে তৃণমূল
ফলে ২০২১-এর ভোট সঠিক সময়ে হওয়া নিয়ে ধন্দে তৃণমূল। তারা জানে সঠিক সময়ে ভোট হলে রাজ্যের পুলিশের অধীনে ভোট করাতে চায় না, সিপিএম কংগ্রেসও। আর পিছিয়ে গেলে তো পোয়া বারো। ভোট পিছনোর কোনও সিদ্ধান্ত হলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে যাবেন, এটা নিশ্চিত। তবে করোনা পরিস্থিতিতে তা কতটা কাজ করবে, তা নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে।
মুকুলকে দরকার নেই বাংলার ভোট-বৈঠকে! দিলীপ তো আছেন, জল্পনা বাড়ালেন নিজেই