শ্রাবণ ও ভদ্র মাসেও জল ঢালা বন্ধ থাকছে বক্রেশ্বরে
শ্রাবণ ও ভদ্র মাসেও জল ঢালা বন্ধ থাকছে বক্রেশ্বরে
করোনার থাকায় বন্ধ হয়েছে দোলযাত্রা, শিবের গাজন উৎসব থেকে শুরু করে চড়ক, বাসন্তী পুজো ঈদ, মহরমও। এবার জল ঢালা বন্ধ থাকছে শ্রাবণ মাসে বক্রেশ্বর শৈব তীর্থেও । এমনকী হবে না মন্দিরের ভান্ডারাও। আর শুধু শ্রাবণ নয়, ভাদ্র মাসের প্রথম সোমবারেও বন্ধই থাকছে মন্দিরের দরজা। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় মন্দির কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের যৌথ বৈঠকে এদিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, করুনা আবহের শুরু থেকেই বীরভূমের বক্রেশ্বর মন্দির বন্ধু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন। পরে পরিস্থিতি পরিবর্তনে তিন মাস পর একে একে দর্শনার্থী ও ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া তারাপীঠ কালীঘাট দক্ষিণেশ্বর সহ একাধিক সতীপীঠের। কিন্তু এখনো পর্যন্ত মন্দির বন্ধ রাখছে বীরভূমের বক্রেশ্বর মন্দির।এদিন বক্রেশ্বর মন্দির কমিটির জরুরি বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তী কালে ফের চিন্তা ভাবনা করা হবে বলেও জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই সময় কোন দর্শনার্থী বক্রেশ্বর শিব মন্দির, সতি পিঠের মহিষাসুরমর্দিনী মন্দির ও বক্রেশ্বর উষ্ণ প্রস্রবনের ভেতর ঢুকতে পারবে না।
তবে নিত্য পুজো হবে মন্দিরে। বছরের এই সময়টাতে বীরভূমের বক্কেশ্বর এ ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে বাবার মাথায় জল ঢালা ছাড়াও, উষ্ণ প্রস্রবনের গরম জলে সাধারণত দর্শনার্থীরা জলের তাপমাত্রার ছোঁয়ার জন্যই হাজির হন এখানে।
বাবার মাথায় জল ঢালা ছাড়াও অনেকেই আসেন বক্রেশ্বর এ শিব মন্দির ও সতীপীঠের মহিষাসুরমর্দিনী মন্দিরে আসেন পুজো দেওয়ার জন্য। সেই পুজোও এখন বন্ধই থাকবে।
উল্লেখ্য, বীরভূমের বক্রেশ্বরে নানা পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে৷ সে সব কেন্দ্র ঘিরে সাধারণ মানুষের আকর্ষণ রয়েছে সারা বছরই৷ বক্রেশ্বরের উষ্ণ প্রস্রবণ বহু পুরনো৷ দেশ-বিদেশেও এর প্রচার রয়েছে৷ অগ্নিকুণ্ড, ব্রহ্মকুণ্ড-সহ আটটি গরম জলের কুণ্ড নিয়ে এই প্রস্রবণ৷ এছাড়া কাছেই রয়েছে মামা-ভাগ্নে পাহাড়৷ ট্রেকিংয়ের জন্য এই পাহাড় উল্লেখযোগ্য৷ সৌন্দর্যও অপরিসীম৷ বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্রও রয়েছে বক্রেশ্বরে৷ উন্নয়ন পর্ষদ গড়লে সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন সম্ভব৷
থানাসহ কসবায় বাড়ছে করোনা আক্রান্ত, স্যানিটাইজেশনের কাজ পুরসভার