ভরা কার্তিকেও বর্ষার ঘনঘটা, ‘নাদা’র প্রভাবে রবিবার পর্যন্ত চলবে দুর্যোগ
ভরা কার্তিকেও বর্ষার ঘনঘটা। বঙ্গোপসাগরে ঘণীভূত গভীর নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে। ঘূর্ণিঝড় ‘নাদা'র প্রভাবে সকাল থেকেই মুখভার আকাশের।
কলকাতা, ৪ নভেম্বর : ভরা কার্তিকেও বর্ষার ঘনঘটা। বঙ্গোপসাগরে ঘণীভূত গভীর নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে। ঘূর্ণিঝড় 'নাদা'র প্রভাবে সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গজুড়ে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
শুক্রবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘে ঢাকা। হাল্কা থেকে ভারী বৃষ্টি কলকাতা শহর-শহরতলি ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও৷ উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷ এই ভরা কার্তিকেও আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটায় চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো উদ্যোক্তারা ঘোর বিপাকে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাসের দিকে তাকিয়ে আছেন তাঁরা।
বাংলাদেশমুখী এই গভীর নিম্নচাপ ক্রমেই গতি বাড়াচ্ছে৷ বর্তমানে নাদা-র যা অবস্থান, তাতে শনিবারের মধ্যে বাংলা ও বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় প্রায় ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। তার জেরেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও দুই মেদিনীপুরে প্রবল বৃষ্টি চলছে। সেচ দফতরের পাশাপাশি কলকাতা পুরসভা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার পুরসভাগুলিতেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ তৈরি রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও৷
আবহবিদরা অবশ্য একটি আশার কথাও শুনিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বাংলার উপকূলে এসে আঘাত করলেও 'নাদা' বাংলা দিয়ে বয়ে যাবে না। উপকূলে ধাক্কা খেয়ে অন্যদিকে গতিপথ পরিবর্তন করার সম্ভাবনাই প্রবল। তবে এই নাদার প্রভাবে বাংলায় শীতের আগমন আরও পিছিয়ে যাবে। উত্তরে হাওয়াকে আটকে রেখে দিয়েছে নাদা। এই নিম্নচাপের প্রভাবে আর্দ্রতা বেড়ে আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে পড়বে আরও। নিম্নচাপটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। সমুদ্রে তীব্র জলোচ্ছ্বাস হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।