বিক্ষোভের ফলে মালদহে ক্ষতিগ্রস্ত রেল স্টেশন পরিদর্শন ডিআরএম-এর
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রত্যাহার করার দাবি নিয়ে বিক্ষোভের ফলে রাজ্যের বেশ কিছু রেল স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মালদার ধূলিয়ান গঙ্গা রেল স্টেশন তার মধ্যে অন্যতম। বৃহস্পতিবার বিকালে মালদার ধূলিয়ান গঙ্গা স্টেশনে পরিদর্শনে যায় মালদার ডি আর এম যতীন্দ্র কুমার। এদিন মালদা ডিভিশনের ওই স্টেশনে একটি বিশেষ ট্রেনে করে পরিদর্শনে যান ডি আর এম। তার সাথে ছিলেন রেলের উচ্চ পর্যায়ের অধিকারীকেরাও। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

পরিদর্শন সেরে ডি আর এম সংবাদ মাধ্যম কে জানান যে আগুনে এই স্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।সিগন্যালিং ব্যবস্থাও তার জেরে ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি কিছু রেলগেট নষ্ট হয়ে গেছে। মেন লাইন দিয়ে গাড়ি চালানো গেলেও লুপ লাইনে স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াতে পারবেনা। এখানে রেল পরিষেবা ঠিক ঠাক হতে আরও দিন পাঁচেক সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
ডি আর এম জানান এখানে যাত্রী সুরক্ষার ব্যবস্থা আরও বাড়ানো হচ্ছে। কারণ ঘটনার দিন এখানে ১০-১২ জন আর পি এফ ছিল। কিন্তু উত্তেজিত জনতার ছিল প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি। পর পর এখানে দুদিন হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিন রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শুধু মাত্র ধূলিয়ান গঙ্গা স্টেশনে পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। মালদা ডিভিশনে যার পরিমান প্রায় ২৫ কোটি টাকা। রেল সূত্রে আরও জানা গেছে হামলায় সময় এই সব স্টেশনে যাত্রীদের টাকা লুট করাও হয়েছে। তাই যাত্রী পরিষেবা স্বভাবিক হতে প্রায় মাস খানেক সময় লাগবে।
অন্যদিকে শনিবারের ধূলিয়ান গঙ্গা স্টেশনের হামলার ঘটনার স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেন নি স্টেশন ম্যানেজার অজয় কুমার গুপ্তা। এদিন তিনি বলেন সেদিন উত্তেজিত জনতা যখন স্টেশনে হামলা চালায় প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে তাদের পালিয়ে যেতে হয়। দূর থেকে তারা দেখেন কীভাবে হামলাকারীরা স্টেশন ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। ওই সময় ১০-১২ জন আর পি এফের উপর সামলানো সম্ভব ছিল না বলেও জানান স্টেশন ম্যানেজার। এদিকে দমকল সূত্রে জানা গেছে ঘটনার দিন তাদের গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। যদিও তারা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছেন।