বর্ধমান বিস্ফোরণ : রাজ্যকে ১৮০ জন বাংলাদেশী সন্ত্রাসবাদীর তালিকা দিয়েছেন দোভাল
সরকারি এক আধিকারিকের কথায়, জলপাইগুড়িকে জঙ্গীঘাঁটি বলে অভিহিত করা ছাড়াও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রাজ্যের বেশ কিছু অজানা মাদ্রাসার তালিকাও সরকারের কাছে দিয়েছে, যেখানে সন্ত্রাসবাদীরা বা বলা ভাল জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি গত ২ বছর ধরে নিজেদের পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে চলেছে।
আরও পড়ুন : বর্ধমান বিস্ফোরণ রহস্যভেদ : ভারতে থেকে বাংলাদেশ কীভাবে বোমা সরবরাহ হত
প্রাথমিকভাবে বর্ধমান বিস্ফোরণের গুরুত্ব বুঝতে না পারলেও এখন কেন্দ্রকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য। এদিকে এনএসএ জেএমবি এবং জামাত-এ-ইসলামি বাংলাদেশ (জেআইবি)- এই দুই বাংলাদেশী জঙ্গী গোষ্ঠীর সঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদের যোগের অভিযোগ ওঠায় কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে তৃণমূল। এছাড়া বাদশাহী রোডের যে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে কিছুই হাতে পেল না রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি সেখানে ফের যৌথভাবে এনআইএ এবং এনএসজি তল্লাশি চালিয়ে ৩০০ টিরও বেশি অত্যাধুনিক মানের গ্রেনেড ও বিষ্ফোরক উদ্ধার করে । ফলে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
আরও পড়ুন : বর্ধমান কাণ্ড : রাজ্য পুলিশের 'সিল' করা বাড়ি থেকে ৪০টি আইইডি উদ্ধার করল কেন্দ্রীয় বাহিনী
বর্ধমান কাণ্ডে একের পর এক ঘটনা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছিল। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সহযোগিতার আশ্বাস না দিলে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মুখ দেখানোর জায়গায় থাকত না। কারণ তাঁরই প্রশাসনের নাকের ডগায় এত বড় সন্ত্রাসী ছক শুরু হয়েছে, অথচ রাজ্য প্রশাসনের কাছে কোনও খবরই ছিল না। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সহযোগিতার আশ্বাস দিতে মুখ্যমন্ত্রী বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের।