উন্নয়নের জন্য নোবেল থাকলে পেতেন মমতা, বললেন দোলা
উন্নয়নের জন্য নোবেল থাকলে পেতেন মমতা, বললেন দোলা
যদি
উন্নয়নের
জন্য
নোবেল
থাকতো
তাহলে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রতিবছর
নোবেল
পেতেন।
ঝাড়গ্রামের
সভা
থেকে
তৃণমূল
সরকারের
উন্নয়নের
খতিয়ান
তুলে
ধরে
এমনই
বার্তা
দিলেন
তৃণমূল
সাংসদ
দোলা
সেন।
তিনি
জানান,
করোনা
মহামারীতে
কোনও
রাজ্য
বিনামূল্যে
মানুষকে
রেশন
দেয়নি।
গত এপ্রিল মাস থেকে অতি করোনা মহামারীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের ন কোটি মানুষকে বিনা পয়সায় রেশন এর মাধ্যমে ৫ কেজি খাদ্যশস্য দিচ্ছে। কিন্তু বিজেপি নেতারা বলছেন যে তাদের টাকায় নাকি মমতা ব্যানার্জি বিনা পয়সায় রেশন দিছে । যদি তাদের ক্ষমতা থাকতো তাহলে কেন উত্তর প্রদেশ গুজরাট এবং আসামে দেয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বলেন, ২৫ বছর গুজরাটে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি আর পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার মাত্র সাড়ে ন বছরের। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬৩টি প্রকল্প রাজ্যে চালু করেছে ।সারা ভারত বর্ষ তথা পৃথিবীর কোন রাজ্যে এত প্রকল্প নেই। তিনি বলেন আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অবাক হয়ে গিয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিভাবে এতগুলি প্রকল্প চালু করেছেন। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মুখ্যমন্ত্রী কে বক্তব্য রাখার জন্য ডেকে ছেন। তা সত্ত্বেও শুধু মিথ্যা কথা বলে বাংলার মানুষের কান ভারি করছে বিজেপি। তাকে সঙ্গ দিচ্ছে সিপিএম ও কংগ্রেস ।
রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরের বিদ্যাসাগর পার্কে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির ঝাড়্গ্রাম জেলা সম্মেলন ও শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, ঝাড়্গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের নেতা গৌরাঙ্গ প্রধান, প্রভাত ঘোষ, মনোজ মাহাতো, সাগুন হেমরম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বাস পরিবহনশ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি পার্থসারথী ঘনা সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এদিন দোলা সেন আরও বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে রয়েছে। জ্যোতিবাবু যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন বাংলায় পরিবর্তন হলে রক্তগঙ্গা বইবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে স্লোগান দিয়েছিলেন বদলা নয় বদল চাই। তাই বাংলার মানুষ বদলার বদলে বদল করেছেন ।যদি তৃণমূল কংগ্রেস বদলা চাইতো তাহলে অত্যাচারী সিপিএম নেতাদের পিঠের চামড়া থাকবে না। যারা এখন বড় বড় কথা বলছেন।
তাদের কথা বলার অধিকার থাকতো না। তৃণমূল কংগ্রেস শান্তি উন্নয়ন চায়। তাই বাংলায় দলতন্ত্রের বদলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর যারা বড় বড় কথা বলছেন তাদের উদ্দেশ্যে অর্থাৎ বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন বিজেপি পরিচালিত উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, আসাম রয়েছে, কংগ্রেস পরিচালিত রাজস্থান রয়েছে, সিপিএম পরিচালিত কেরালা রয়েছে।
পরপর ৫ দিন রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কম! কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার পর মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হাওড়া, নদিয়ায়