শোভনের পথে কি এবার 'কাঁটা' হলেন পার্থ! বাক্যবাণে মর্মাহত বৈশাখীর বৈঠক বয়কটে জল্পনা
শোভনের পথে কি এবার কাঁটা পার্থ! বাক্যবাণে মর্মাহত বৈশাখীর বৈঠক বয়কটে জল্পনা
পার্থ-বৈশাখীর বৈঠকের পর কি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরা ফের কঠিন হয়ে গেল? যেভাবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাক্যবাণে মর্মাহত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন বৈশাখী, তারপর শোভনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়ল। তবে কি শোভনকে নিয়ে অতিসক্রিয়তার জেরে পার্থর রোষানলে পড়লেন বৈশাখী?
কেন অসৌজন্য, বোধগম্য হল না
না, বৈশাখী এদিন শোভন প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, কোনওদিন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তদ্বির করে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা ভিন্ন ব্যক্তিগত কোনও স্বার্থের জন্য তদ্বির করিনি। তারপরও কেনও উনি আজ এমন অসৌজন্য দেখালেন, আমার বোধগম্য হল না।
বৈশাখীকে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা
বিকাশ ভবনে মিল্লি আল আমিন কলেজের পরিচালন কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা রয়েছে। যা নিয়ে হয় ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। এই বৈঠকের শুরুতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় করোনা ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করেন বৈশাখীকে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস যেমন পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনই মিল্লি আল আমিন কলেজের ভাইরাস হচ্ছেন বৈশাখী।
কাঁদতে কাঁদতে বৈঠক ছাড়েন বৈশাখী, ফলে...
এর পরেই কাঁদতে কাঁদতে বৈঠক ছাড়েন বৈশাখী। এরপর বৈশাখী কাঁদতে কাঁদতে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখীর বৈঠককে মেনে নিতে পারেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই বৈঠকের পরই রত্নার জায়গায় শোভন ঘনিষ্ঠ বিধায়ককে পূর্ব বেহালা বিধানসভা ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তৃণমূলে ফেরার জায়গা তৈরি হয়েছিল, ফের অন্ধকার
যদিও রত্না স্বেচ্ছায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা ক্ষেত্রে পূর্ব বেহালার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন বলে জানান। এরপরই জল্পনা জোরদার হয়ে যে, শোভন ফিরতে পারেন তৃণমূলে। তাঁর তৃণমূলে ফেরার জন্যই জায়গা করে দিলেন রত্না। এই জল্পনার মধ্যেই বৈশাখী বার্তা দিলেন- শোভনদা, যেখানেই যান না কেন, তিনি যেন সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারেন।
শোভন-বৈশাখী মুখোমুখি হতেই অনভিপ্রেত ঘটনা
উল্লেখ্য, নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখীর বৈঠকের পরই আবহ বদলে যায়। মাত্র ক'দিন আগে ঘটা করে রত্নাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শোভনের কেন্দ্রের, তিনি সরে দাঁড়ান। ফলে পথ পরিষ্কার হয় শোভনের। তারপরই জল্পনা বাড়তে শুরু করে শোভনের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে। আর তারপর শোভন-বৈশাখী মুখোমুখি হতেই ঘটে যায় অনভিপ্রেত ওই ঘটনা।