বিজেপিকে ঠেকাতে কি তৃণমূলের নেতৃত্বে জোটে বামেরা! নয়া সমীকরণ বিহার ভোটের পর
বিজেপিকে ঠেকাতে কি তৃণমূলের নেতৃত্বে জোটে বামেরা! নয়া সমীকরণ বিহার ভোটের পর
বিহারের ভোটে পরিবর্তন আনতে না পারলেও বামেরা প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেয়েছে। জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেয়েই বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বামেরা। বিহারের ভোটের পর বামফ্রন্টের তরফে সিপিআইএমএল লিবারেশনের সম্পাদক এক নয়া সমীকরণ গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলের আগে বিজেপির বিরোধিতাই এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার।
বাংলাকে বাঁচাতে ধর্মনিরপেক্ষ জোট গড়তে হবে
বিহারে ২৯ আসনে লড়াই করেছে বামফ্রন্ট। তার মধ্যে ১৬ আসনে তারা জয়যুক্ত হয়েছে। এই সাফল্যের পরই বাংলার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিহারের শাসনভার রক্ষা করার পর বাংলার জন্য দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে ঝাঁপাবে বিজেপি। তাই ধর্মনিরপেক্ষ জোট গড়তে হবে।
বিজেপি হটাতে বামপন্থাকে শক্তিশালী করতে হবে
এই মুহূর্তে গণতন্ত্রের প্রধান শত্রুর নাম বিজেপি। বাংলা-সহ গোটা গেশে ভয়ঙ্কর এই সাম্প্রদায়িক শক্তির মোকাবিলা করতে হবে। সেজন্য বামপন্থীদের যেমন মাটির কাছাকাছি ফিরে যেতে হবে। সংগঠনকে আরও পোক্ত করতে হবে। বামপন্থাকে শক্তিশালী না করতে পারলে বিজেপিকে ঠেকানো যাবে না। নতুন নতুন মুখ তুলে আনতে হবে।
বিজেপিকে ঠেকাতে কি তৃণমূলের নেতৃত্বে জোট
বিহারে মহাজোট হয়েছে, বাংলাতেও কি তবে তৃণমূলের নেতৃত্বে মহাজোট হবে? দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এখনই সে কথা বলতে নারাজ। তাঁর কথায়, বাম নেতাদের একটা ভুল হচ্ছে বাংলায়। সেই ভুলটা হল তৃণমূল আর বিজেপিকে তাঁরা একই গোত্রে ফেলে দিচ্ছে। কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপটে কি দুই পার্টিকে এক গোত্রে ফেলা যায়?
বিজেপি বিরোধিতায় তৃণমূলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
দীপঙ্করবাবু বলেন, বাংলার বিজেপি বিরোধী শক্তিদের এবার দেওয়াল লিখল পড়তে হবে সঠিক করে। আমি এখনও জোট করার কথা বলছি না। কিন্তু বাম নেতাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই তৃণমূলকে বিজেপির সঙ্গে একাসনে রেখে আক্রমণের পরিবর্তনে বিজেপি বিরোধিতায় তৃণমূলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
কবে বিজেপির সঙ্গে জোট, মমতাকে নিয়ে ছুৎমার্গ নয়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বিজেপি বিরোধিতায় একের বিরুদ্ধে একের সওয়াল করেছেন। সেটা বামেদের পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব। কারণ আমরা নীতিগতভাবে তৃণমূলের বিরোধী। আবার এটাও ঠিক যে আমরা কংগ্রেসেরও বিরোধী। কিন্তু বিজেপিকে ঠেকানোই যখন উদ্দেশ্য, তখন মমতা কবে বিজেপির সঙ্গে জোট করেছেন, তা নিয়ে ছুৎমার্গ করা উচিত নয়।
তৃণমূলের বিজেপি বিরোধিতার থেকেও শক্তিশালী প্রতিবাদ
তাঁর কথায়, মানুষ আগে দেখবেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইটা করছে কে! তাঁকেই সমর্থন করবে বিজেপি বিরোধী গণতন্ত্রপ্রেমী ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হবে। বামেদের বিজেপি বিরোধিতা এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যে, তা তৃণমূলের বিরোধিতার থেকেও শক্তিশালী হয়।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে তৃণমূলের, ভাঙন-জল্পনার মাঝে টোপ অধীরের