‘রাজ্যপাল ধনখড় কার্যত বিরোধী নেতার ভূমিকায়! এবার কি ভোটের কাজেও লাগাবে বিজেপি’
‘রাজ্যপাল কার্যত বিরোধী নেতার ভূমিকায়! এবার কি ভোটের কাজেও লাগাবে বিজেপি’
২০২১ নির্বাচনের আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল! শাসক শিবির থেকে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হল, রাজ্যপাল কি তবে রাজ্যে বিরোধী দল নেতার ভূমিকা নিয়েছেন? শাসকদলকে নিয়ম করে সমালোচনা করা, বিরোধী দলের মতো ইস্যুভিত্তিক আক্রমণ করা ছাড়াও তাঁর সাম্প্রতিক সফর নিয়ে এই প্রশ্ন তুলেছে শাসক শিবির।
পাহাড়ে ঘাঁটি বাঁধলেন রাজ্যপাল শাহের আগেই
সম্প্রতি রাজ্যপাল পাহাড় সফরে গিয়েছেন। পাহাড়ে তিনি মাসাভধিকাল অতিবাহিত করবেন। তার আগে রাজ্যপাল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে এক বৈঠক করেন। তারপর অমিত শাহও সিদ্ধান্ত নেন উত্তরবঙ্গ সফর করার। ঠিক তার আগেই পাহাড়ে ঘাঁটি বাঁধলেন রাজ্যপাল। আর এই সিদ্ধান্ত খন নিলেন, তখন বিমল গুরুং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে বসে আছেন।
পাহাড়ে নতুন সমীকরণ গড়তে গেছেন রাজ্যপাল!
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি থেকে তৃণমূল, আর বিমল গুরুং থেকে বিনয় তামাং-গোষ্ঠীর তৎপরতার পাশাপাশি রাজ্যপালের পাহাড় সফর ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপি উভয়পক্ষকেই পাহাড় রাজনীতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে।
রাজ্যপালকে দিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বিজেপি?
এ প্রসঙ্গেই উঠে এসেছে, রাজ্যপাল এতদিন পাহাড় সফর করবেন কেন এবং কী তাঁর উদ্দেশ্য। তবে কি বিমল গুরুং যে বিজেপি ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপি এখানে অন্য সমীকরণ গড়ে তুলতে চাইছে। তাই কি রাজ্যপালকে পাঠিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বিজেপি?
গুরুং যখন মমতার সমর্থনে, রাজ্যপালের পদক্ষেপ
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল পাহাড়ে গিয়ে মানুষের কথা শুনবেন। তিনি গোর্খা জনমু্ক্তি মোর্চার নেতা বিনয় তামাংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠক করবেন অনীত থাপার সঙ্গেও। তবে কবে এই বৈঠক হবে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বিজেপির হাত ছেড়ে বিমল গুরুং যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়েছেন, তখন রাজ্যপালের পদক্ষেপও তাৎপর্যপূর্ণ।
ভোটের রাজনীতিতেও রাজ্যপালকে ব্যবহার!
রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ মনে করছে, গুরুং এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর রাজ্যপাল পাহাড়ে গিয়ে গুরুং বিরোধীদে্র সঙ্গে বৈঠক করে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পাহাড়ে এখন বিজেপি কোণঠাসা। তাই গুরুং-বিরোধী বিনয় তামাং ও অনীত থাপাদের কাছে টানতে চাইছে বিজেপি। আর তা করতে চাইছে রাজ্যপালকে ব্যবহার করে। অর্থাৎ ভোটের রাজনীতিতেও রাজ্যপালকে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি, এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের।
রাজ্যপাল সরকারকে শত্রু মনে করেছেন সর্বদা
এর আগে রাজ্যপালকে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সরকারের সমালোচনায়। ইস্যু ধরে ধরে তিনি প্রতিদিন নিশানা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগেছেন। রাজ্য পা দেওয়ার পর থছেকে বিতর্ক থামেনি। প্রতিদিনই তিনি বিরেোধী নেতার মতোই খুঁচিয়ে গিয়েছেন রাজ্যে্র প্রশাসনিক প্রধানকে। অর্থাৎ রাজ্যপাল সরকারকে শত্রু মনে করেছেন সর্বদা। এমনটাই অভিযোগ শাসক দলের।
রাজভবনকে বিজেপি পার্টি অফিসে পরিণত করেছে!
আবার বিজেপির ছোটবড় নেতৃত্ব যখনই চেয়েছেন রাজভবনে চলে গিয়েছেন। স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যপালকে তথ্য সরবরাহ করে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল তো এমন অভিযোগও করেছেন যে রাজভবন আসলে বিজেপির আরও একটা পার্টি অফিস। অর্থাৎ রাজভবনকে বিজেপি পার্টি অফিসে পরিণত করেছে।
রাজ্যপালকে বিজেপির সুপার সভাপতি বলে কটাক্ষ
সম্প্রতি
জ্যোতিপ্রিয়
মল্লিক
আবার
রাজ্যপালকে
বিজেপির
সুপার
সভাপতি
বলে
কটাক্ষ
করেছন।
তিনি
বলেছেন
জগদীপ
ধনখড়কে
রাজ্যপাল
বলা
চলে
না,
উনি
আসনে
ধনখড়
পাল।
বিজেপি
তাঁকে
দিলীপ
ঘোষের
উপরে
সুপার
সভাপতি
করে
বসিয়েছে।
তিনি
রাজভবনে
থেকে
বিজেপির
সুপার
সভাপতিত্ব
করছেন।
মুকুল-কৈলাশের কর্তৃত্বে খর্ব হচ্ছে আদি নেতাদের ক্ষমতা, বিজেপিতে কি শুরু মুষলপর্ব