দিনের শুরুতে ভোগান্তি, চিকিৎসকরা কাজে ফেরায় রাজ্যে হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি স্বাভাবিক
ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বিলের প্রতিবাদে আইএমএ-র ডাকা ধর্মঘটে বেশিরভাগ হাসপাতালেই পরিষেবা স্বাভাবিক। বলা ভাল রাজ্যে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে উঠে যায় চিকিৎসকদের ধর্মঘট।
ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বিলের প্রতিবাদে আইএমএ-র ডাকা ধর্মঘটে বেশিরভাগ হাসপাতালেই পরিষেবা স্বাভাবিক। বলা ভাল রাজ্যে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে উঠে যায় চিকিৎসকদের ধর্মঘট।
ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বিলের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল আইএমএ। সেইমতো সকাল থেকে ধর্মঘট শুরুও হয়। কলকাতার ৫ টি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্মঘট শুরু হয়। শুরুর দিকে হাসপাতালগুলির বেশিরভাগ কাউন্টার বন্ধ ছিল। অন্যদিনের মতো সকাল নটার আগে থেকেই সরকারি হাসপাতালের আউটডোরগুলির সামনে ভিড় বাড়তে থাকে। হয়রানির মুখে পড়েন রোগী ও তাঁদের আত্নীয়রা। খবর পাওয়ার পরেই তৎপরতার সঙ্গে আইএমএ-র চিকিৎসক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এরপরেই ধর্মঘট তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। অনেক জায়গাতেই সকাল নটার বদলে কাজ শুরু হয় ১১টা থেকে। কালো ব্যাজ পড়ে কাজ শুরু করেন চিকিৎসকরা।
সিউড়ি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় পরিষেবার প্রভাব পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আউটডোর খোলা থাকলেও চিকিৎসক অমিল বলে অভিযোগ উঠেছে কোথাও কোথাও। তবে পশ্চিমবঙ্গে সর্বত্রই চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন আইএমএ-র রাজ্য সভাপতি নির্মল মাঝি। তাঁরা প্রতীকি ধর্মঘটের পক্ষে বলে জানিয়েছেন নির্মল মাঝি।
রাজ্য আইএমএ-র সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সেন সোমবার বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার অন্যায় ভাবে মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে ভেঙে দিচ্ছে। কেন্দ্রের নির্দেশের ফলে, মেডিকেল শিক্ষা গরিব মানুষের আওতার বাইরে চলে যাবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠবে মেডিকেল কলেজ। মঙ্গলবার শান্তনু সেন বলেন, পরিষেবা দেওয়া হবে না, তা তাঁরা কখনও বলেননি। তবে ভুল বোঝাবুঝির কারণে কয়েক জায়গায় আউটডোর পরিষেবা বন্ধ ছিল।