আলোর উৎসব ভাসাতে শক্তি বাড়াচ্ছে ‘কুমীর’, আশঙ্কার মেঘ বাংলার আকাশে
আলোর উৎসব দেওয়ালিকে ভাসাতে এগিয়ে আসছে ‘কুমীর'। তালিকা অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হতে চলেছে ‘ক্যান্ত'। এই ‘ক্যান্ত'-এর অর্থ কুমীর।
কলকাতা, ২২ অক্টোবর : আলোর উৎসব দীপাবলীকে ভাসাতে এগিয়ে আসছে 'কুমীর'। আবহবিজ্ঞানীদের ধারণা, বঙ্গোপসাগরে ঘণীভূত নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে আসন্ন দীপাবলিতে আছড়ে পড়তে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে সরে মায়ানমার উপকূলের দিকে এগিয়ে চলেছে। সম্ভাবনা, মায়ানমার উপকূলে ধাক্কা খেয়ে অভিমুখ বদলে তা আবার ফিরে আসতে পারে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে। তাহলেই নিশ্চিতভাবে কালীপুজোর সময় বাংলার আকাশে ঘনিয়ে আসবে ঘোর অমানিশা। দীপাবলির রাত ভাসবে ভারী বৃষ্টিতে। সঙ্গে থাকবে ঘূর্ণিঝড়। [কেন প্রতিবার ঘূর্ণিঝড়ের আলাদা নাম দেওয়া হয় জানেন কি? জেনে নিন]
তালিকা অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে বাসা বাঁধা এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হতে চলেছে 'ক্যান্ত' (Kyant)। এই 'ক্যান্ত'-এর অর্থ কুমীর। আলোর উৎসবে মেতে ওঠার আগে তাই মন খারাপ বাঙালির। সাগরে 'কুমীর'-এর গতিবিধির উপরই এখন নির্ভর করে থাকতে হবে তাঁদের। এমনই আশঙ্কা কয়েকদিন করা হচ্ছিল। এদিন আলিপুর আবহাওয়া দফতর এমনই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে৷ আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা।
দুর্গোৎসবও মাটি করেছিল নিম্নচাপ। নবমীর সন্ধ্যা তো অঝোর ধারায় ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল শহর কলকাতাকে। এবার ঝড়-বৃষ্টিতে আলোর উৎসবও মাটি হতে পারে। তবে আবহাওয়াবিদরা একটা খুশির খবরও দিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপটি যদি মায়ানমার উপকূলেই আছড়ে পড়ে, তবে নিম্নচাপটি অভিমুখ বদল নাও করতে পারে। তখন শক্তি হারিয়ে ফেলবে 'ক্যান্ত'।
শনিবার নিম্নচাপটি কলকাতা থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। দুর্গাপুজোর পরই রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। বর্ষা বিদায় নিতেই উষ্ণতার পারদও নেমেছে। বাতাসে হিমের পরশ। রাতে ও ভোরের দিকে এখন থেকেই ঠান্ডা পড়ছে বেশ। আবহাওয়া দফতরও জানিয়ে দিয়েছে, এবার নির্দিষ্ট সময়েই রাজ্যে শীত আসতে চলেছে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই জাঁকিয়ে শীত অনুভব করবে বঙ্গবাসী৷