এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: সিবিআই নয়, তদন্ত করবে বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের
স্কুল সার্ভিস কমিশনে (School Service Commission) গ্রুপ ডির (Group D) নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করবে বিশেষ তদন্তকারী দল। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্ব
স্কুল সার্ভিস কমিশনে (School Service Commission) গ্রুপ ডির (Group D) নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করবে বিশেষ তদন্তকারী দল। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে (CBI) দেওয়া হয়েছিল। এরপর সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার এবং এসএসসির তরফে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ তাদের রায় দিয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তকারী দল
এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে মাথার রেখে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে গিয়েছেন। প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ এই দলের নেতৃত্ব দেবেন। এই দলে থাকবেন হাইকোর্টের আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, এসএসসির আধিকারিক পারমিতা ঘোষ। দুমাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে এই তদন্তকারী দলকে।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশ
২০১৯ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। এদিন হাইকোর্টে দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে আগেকার সেই রায় খারিজ করে দেওয়া হয়। মূলত প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই প্রচুর নিয়োগের অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
কে দোষী ?
স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এসএসসির তরফে হাইকোর্টে জানানো হয়, তারা নিয়োগের কোনও সুপারিশ করেনি। এরপরেই এই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়ায় মধ্যশিক্ষা পর্যদের নাম। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে তাদের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, তারাও এই ক্ষেত্রে জড়িত নয়। তেননা পর্ষদ কোনও নিয়োগ করেনি। তারা দায় চাপায় কমিশনের ঘাড়েই। তারপরেই হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই আদেশ দানকারী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হলফনামা থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে, সেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল অস্বচ্ছ। এর পিছনে আর্থিক বিষয় রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। অভিযুক্ত দুই সংস্থাই রাজ্য সরকারের হওয়ায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।
বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি
এছাড়াও সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যাঁদের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেই ৫৪২ জনের বেতন বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। কেন বারবার অভিযোগ উঠছে, কেন স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হচ্ছে না, এইসব প্রশ্নের মুথে পড়তে হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২৯ তম বর্ষপূর্তি: বিভিন্ন সংগঠনের হুমকিতে মথুরায় তিস্তরীয় নিরাপত্তা, বন্ধ রেল