শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের, অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের
শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের, অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার জেল থেকে মুক্তির দিনই গ্রেফতারের ঘটনায় হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এদিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাখাল বেরাকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকার এই মামলায় কোনও স্থগিতাদেশও আনতে পারবে না বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
রাখাল বেরাকে মুক্তির নির্দেশ
এদিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাখাল বেরাকে অবিলম্বে জেল থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। তবে ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি মান্থার আদেশে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। পাশাপাশি রাজ্য সরকারও কোনও স্থগিতাদেশ পাবে না বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার রাখাল বেরার অন্য একটি মামলার সঙ্গে 'গ্রেফতার দেখানো'র আবেদনও প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ( ১৫ জুন, ২০২১-এর নন্দকুমার থানার কেস নং ২৪৩/২১)।
মঙ্গলবার ফের গ্রেফতার
মঙ্গলবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রাখাল বেরাকে নিয়ে শুনানি চলছিল। সেই সময় রাখাল বেরার ছেলে তাঁর আইনজীবীকে জানান, ১৫ জুন নন্দুকুমারের একটি মামলায় তাঁকে ফের গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তকে বিষয়টি জানান। সেই সময় আদালত প্রশ্ন তোলে আদালতের নির্দেশ ছিল গ্রেফতার করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ কেন মানা হল না এই ক্ষেত্রে। পাশাপাশি বিচারপতিরা আরও প্রশ্ন করেন, ডিভিশন বেঞ্চে যখন মামলার শুনানি চলছে তখন কীভাবে এই গ্রেফতার। কেন এত দ্রুততা আর কোন অফিসারই বা রাখাল বেরাকে গ্রেফতার করেছেন, তা জানতে চায় আদালত। বুধবার আদালতে এইসব প্রশ্নের উত্তর দেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী।
জানতেন না আইনজীবীরা
এই সময় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে জানান, নিম্ন আলাদত সোমবার বেলা ১১ টায় গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে। প্রসঙ্গত সোমবার তার পরেই হাইকোর্ট রাখাল বেরাকে জামিনের নির্দেশ দেয় এবং সঙ্গে বলে দেয় গ্রেফতার করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। কেন নিম্ন আদালতের আদেশের কথা হাইকোর্টের নির্দেশ দেওয়ার সময় জানানো হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই মামলায় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। বিচারপতিদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না।
সোমবার রাখাল বেরাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ রাখাল বেরাকে জামিনের নির্দেশ দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য সরকারের তরফে এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়। চাকরির টোপ দিয়ে অর্থ প্রতারণার মামলা ছিল এটি।