বাংলার কত জন করোনা আক্রান্ত, মৃত্যুই বা কত! জেলাওয়াড়ি পরিসংখ্যান একনজরে
সোমবারই রাজ্য সরকারের তরফে প্রথম মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ১২৫৯ জন কোভিড আক্রান্তের মধ্যে কোন জেলায় কত আক্রান্ত- সেই পরিসংখ্যানও এদিন দিলেন মুখ্যসচিব।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বাংলাও এগিয়ে চলেছে। লকডাউন সত্ত্বেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যু। সোমবারই রাজ্য সরকারের তরফে প্রথম মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ১২৫৯ জন কোভিড আক্রান্তের মধ্যে কোন জেলায় কত আক্রান্ত- সেই পরিসংখ্যানও এদিন দিলেন মুখ্যসচিব।
জেলাওয়াড়ি করোনা আক্রান্ত
রাজ্যের রিপোর্ট অনুসারে সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছে কলকাতায়। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫৯। কলকাতার পরের স্থানেই আছে হাওড়া। গঙ্গার দুই পারের দুই শহরই রাজ্যের বুকে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। একইসঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও। এখানে আক্রান্ত ১৭৮। হুগলি, পূর্বমেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় আক্রান্ত যথাক্রমে ৪১, ৩৬ ও ৩৩।
৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত জেলাওয়াড়ি
গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৬১ জন। তাঁদের মধ্যে কলকাতার বাসিন্দা রয়েছেন ২৪ জন। হাওড়ার বাসিন্দা ২১ জন। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ৬৭ শতাংশই গঙ্গাপারের দুই জেলার। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনায় ৯, দক্ষিণ ৪ পরগনায় ৩, পূর্ব মেদিনীপুর ২, পশ্চিম মেদিনীপুর ১ এবং হুগলিতে ১ জন আক্রান্ত হন।
কোন জেলায় কত মৃত
মোট যে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে, সেই তালিকাতেও সবার আগে স্থান কলকাতার। কলকাতায় মৃতের সংখ্যা ৩৫। হাওড়ায় ১২ জন মারা গিয়েছে করোনায় এবং উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয় ১০ জনের। এছাড়া কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ জন করে মত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণে।
সাতটি জেলা এখনও গ্রিন জোনে
রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এই রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছেন, রাজ্যের মোট সাতটি জেলা এখনও গ্রিন জোনে। এই সাত জেলায় কোনও করোনা আক্রান্ত পাওয়া যায়নি। এই সাত জেলা হল- আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম।
মোট আক্রান্তের নিরিখে পরিসংখ্যান
সোমবার নবান্নে মুখ্যসচিব স্পষ্ট করেছেন, মোট আক্রান্তের মধ্যে অর্থাৎ ১২৫৯ জনের মধ্যে এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯০৮ জন, করোনা মুক্ত হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ২১৮ জন। করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। বাকি ৭২ জনের মৃত্যর কো-মর্বিলিটির কারণে।