একের পর এক দুর্নীতি 'ফাঁস'! মমতা ফিরতেই একাধিক জেলাশাসক-অফিসার বদল নবান্নের
পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম সহ আট জেলার জেলাশাসককে বদল করল নবান্ন। সম্প্রতি পুরুলিয়াতে জেলাশাসকের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধু তাই নয়, একের পর এক দুর্নীতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম সহ আট জেলার জেলাশাসককে বদল করল নবান্ন। সম্প্রতি পুরুলিয়াতে জেলাশাসকের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধু তাই নয়, একের পর এক দুর্নীতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। আর সেখান থেকে ফিরতেই পুরুলিয়ার জেলাশাসককে বদল করে দেওয়া হল বলেই খবর।
একই সঙ্গে আরও সাত জেলার জেলাশাসককেও বদল করা হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও একাধিক দফতরের অফিসারকে বদল করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কলকাতা পুলিশেও বেশ কিছু পদে রদবদল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
গত কয়েকদিন আগেই জেলাসফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম পর্যায়ে ঝাড়গ্রাম সহ বেশ কয়েকটি জায়গাতে প্রশাসনিক সভা করে। সদ্য পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়াতে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই জেলাতেই সরকারি কাজ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এমনকি সরকারি কাজ করাতে ঘুষ নেওয়ার প্রমাণও সামনে আনেন মমতা।
শুধু তাই নয়, ইট ভাটা থেকে রাজস্ব সরকারি কর্মীদের পকেটে যাচ্ছে এমনও অভিযোগ সামনে আসে। আর তাতেই রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি জেলাশাসককে প্রকাশ্যে ভতসনাও করেন তিনি। বলেন, তৃণমূলের কেউ হলে টেনে চারটে চড় মারতাম। এমনকি পুরুলিয়ার জেলাশাসকের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা।
আর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নবান্নে ফিরতেই বদলি করা হল পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে। তাঁকে পাঠানো হল আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের অতিরিক্ত সচিব পদে। এছাড়াও আসানসোলের পুরনিগমের সিইও হিসাবেও কাজ করবেন তিনি। পুরুলিয়া ছাড়াও ঝাড়গ্রাম, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসককেও বদল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, একাধিক দফতরের আধিকারিকদেরও বদলি করা হয়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে। এমন পুলিশেও বেশ কয়েকটি পদে নবান্নের তরফে রদবদল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে কাজ বুঝে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজ্যের কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর থেকে এই বদলির নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দফতর দেখেন। জেলা সফরে যেভাবে দুর্নীতি দেখেছেন মমতা, তাতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ তিনি। আর এরপরেই প্রশাসনিক ভাবে এই রদবদল বলে জানা যাচ্ছে। তবে নবান্নের দাবি, এই রদবদল নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। রুটিন বদলির মধ্যে পড়ে বলেই জানানো হয়েছে।
তবে এই বদলি নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।