ভোটদানের হার কম হলে সমীক্ষা চালাবে প্রশাসন, অবাধ ভোটের লক্ষ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার যে সব বুথে ভোট দানের হার কম, সেই সব বুথে সমীক্ষা চালাবে জেলা প্রশাসন। কেন ভোটদানের হার কম হল, তা জানতেই মূলত এই সমীক্ষা চালানো হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার যে সব বুথে ভোট দানের হার কম, সেই সব বুথে সমীক্ষা চালাবে জেলা প্রশাসন। কেন ভোটদানের হার কম হল, তা জানতেই মূলত এই সমীক্ষা চালানো হবে। এই জেলার মধ্যে আছে ২ টি লোকসভা কেন্দ্র এবং অন্যজেলার ২টি লোকসভা কেন্দ্রের ৩ টি বিধানসভা এলাকা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিধানসভার সংখ্যা ১৫টি। এই বিধানসভা এলাকার যে সব বুথে ভোটদানের হার সবচেয়ে কম, এমন ৫টি বা ১০টি বুথ বেছে নিয়ে সমীক্ষা চালানো হবে। এই বুথগুলিতে ঘুরে ভোটদানের হার কম কেন, তার কারণ জানার চেষ্টা চালাবে জেলা প্রশাসন।
নির্বাচন কমিশন চাইছে সব ভোটার যেন বুথে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার তথা গনতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। এই নিয়ে অনেক বার সচেতনা শিবির করা হলেও সবাইকে বুথমুখী করা যায়নি। তারপরেও দেখা গিয়েছে বেশ কিছু বুথ রয়েছে যেখানে ভোট দানের হার আরও কম।
"ওই সব বুথে কেন ভোট দানের হার কম, কেন মানুষ ভোট দিতে যান না, কোন ভয়-ভীতি কাজ করে, নাকি অন্য কোনও কারণ আছে, তা জানতে আমরা সেখানে গিয়ে সমীক্ষা চালাব। আমরা প্রতিটি বিধানসভার ৫ থেকে ১০টি বুথ বেছে নেব, যেখানে ভোটদানের হার তুলনায় অনেক কম।
এরপর সেখানে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি এলাকাতে বিশেষ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হবে এবং সকল মানুষ যাতে ভোট দিতে যান সেই বিষয়ক সচেতনতা শিবির করা হবে। মানুষকে বুথমুখী করার লক্ষ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী এ কথা জানিয়েছেন।
ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, তমলুকের মতোই মেদিনীপুর এবং ঘাটাল কেন্দ্রেও ভোট গ্রহণ হবে ১২ মে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন গ্রহণ করার জন্য এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মানুষ যাতে ভোট দিতে যায় তার জন্য নানা সচেতনামূলক প্রচারও করা হচ্ছে।
তারপরেও দেখা গিয়েছে অনেকেই নির্বাচনের দিন বুথমুখী হন না। অভিযোগ, নানা ক্ষেত্রেই শাসক দলের ভয় এবং তাদের চাপের জন্য ভোট দিতে যান না অনেকেই। এবার সেই চিত্রটা পাল্টাতে চাইছে প্রশাসন। তার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এরই পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকাতে, বিশেষ করে ভিনরাজ্য বা ভিনজেলার সীমানা, সেখানে এখন থেকেই নাকা চেকিং শুরু করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে নাকা চেকিং চালানোর সময় গত কয়েকদিনে বেশ কয়েক কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ার যে এলাকাতে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমানা আছে, সেখানেও বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে এবং নাকা চেকিং করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।