অজয়-কুনুর সঙ্গমস্থলে কুমুদ রচিত সাহিত্যে মজল মানুষ, সম্মানিত হলেন গুণিজনের দল
বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের আকাশের মতো ব্যপ্তি। কিন্তু, সেই আকাশের নিচে একটি একটি দিকে যাঁরা সে সময় স্বকীয়তায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিলেন তাঁদের মধ্যে কুমুদরঞ্জন মল্লিক অন্যতম।
বাংলার যে ক'জন পল্লিকবি নিজের স্বমহিমায় আজও উজ্জ্বল হয়ে আছেন তাঁদের মধ্যে কুমুদরঞ্জন মল্লিক অন্যতম। ৩ মার্চ ছিল কুমুদরঞ্জনের ১৩৬তম জন্মদিবস। আর সেই উপলক্ষ্যে অজয় নদ ও কুনু নদীর সঙ্গমস্থলে বসেছিল এক সাহিত্য মেলার আসর। ১৮৮৩ সালের ৩ মার্চ তৎকালীন বর্ধমান তথা বর্তমানের পূর্ব বর্ধমানের কোগ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অজয় নদ ও কুনুর নদীর সঙ্গমস্থলে এই কোগ্রাম। এখানেই এদিন 'পল্লিকবি'-র বসতভিটে 'মধুকর'-এ বসেছিল কুমুদ স্মরণে সাহিত্য মেলার আসর।
বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের আকাশের মতো ব্যপ্তি। কিন্তু, সেই আকাশের নিচে একটি একটি দিকে যাঁরা সে সময় স্বকীয়তায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিলেন তাঁদের মধ্যে কুমুদরঞ্জন মল্লিক অন্যতম। তাঁর কবিতার ছন্দে উঠে আসা পল্লি-বাংলার ছোট-ছোটো কথা ছবির মতো হয়ে উঠত পাঠকের কল্পনায়। গ্রাম বাংলার কথা, তার রূর-রস-ছন্দ-মানুষের সঙ্গে মানুষের আত্মিক বন্ধন অসামান্য রচনায় হয়ে উঠত সর্বোৎকৃষ্ট। এহেন কুমুদরঞ্জন মল্লিকের জন্মবার্ষিকীর সাহিত্য মেলায় উপস্থিত হয়েছিলেন বহু গুণিজন। যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিশ্বভারতীর বাংলা সাহিত্যের বিভাগীয় প্রধান অমল পাল। আঞ্চলিক গবেষক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো ব্যক্তিত্ব।
কুমুদ সাহিত্য মেলার আয়োজকদের পক্ষ থেকে অধ্যাপক অমল পাল-কে 'কুমুদরত্ন' সম্মানেও সম্মানিত করা হয়। আঞ্চলিক গবেষক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়-তে 'লোচনদাস রত্ন', পত্রলেখক সুব্রত রায়-কে 'নুরুলহোদা রত্ন', সমাজসেবী অমরচাঁদ কুণ্ডু-কে 'কেতুগ্রাম রত্ন'-এ-ও সম্মানিত করা হয়। সবমিলিয় মোট নয় জন সাহিত্যিক এদিন সম্মান জানায় কুমুদ সাহিত্য মেলার আয়োজকরা। বিশিষ্ট পল্লিকবি কুমুদরঞ্জনের স্মরনের এই সাহিত্য মেলায় অংশ নিয়েছিলেন প্রায় শ'খানেক সাহিত্য রসিক মানুষ। এছাড়াও অতিদির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চাশটিরও বেশি মফস্বল পত্রিকার সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ ইব্রাহিম।