আম্ফানের মতো নয় ইয়াস, কলকাতার রক্ষা পাওয়া নিয়ে কারণ ব্যাখ্যা আবহাওয়া দফতরের
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আম্ফানের থেকে ব্যাপকভাবে আঘাত করতে চলেছে ঘর্ণিঝড় ইয়াস (cyclone yaas)। কিন্তু ওইদিনই আবহাওয়া দফতর বলেছিল সেরকমটা নয়। আর মঙ্গলবার তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন আবহাওয়া দফতরের (weather office) পূ
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আম্ফানের থেকে ব্যাপকভাবে আঘাত করতে চলেছে ঘর্ণিঝড় ইয়াস (cyclone yaas)। কিন্তু ওইদিনই আবহাওয়া দফতর বলেছিল সেরকমটা নয়। আর মঙ্গলবার তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন আবহাওয়া দফতরের (weather office) পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে
পারাদীপ এবং সাগরের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে তা উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে যাবে। পড়বে ঝাড়খণ্ডের ওপরে। যার জেরে ২৬ ও ২৭ মে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে ঝাড়খণ্ডে। বিচ্ছিন্ন ভাবে কোনও কোনও জায়গায় অতিবৃষ্টিও হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী এই রাজ্যে বৃষ্টি হবে ২৮ মে-তেও। জোয়ারের কারণে যে জলস্তর হয়, তার ওপরে ঝড়ের জেড়ে জলোচ্ছ্বাস হবে। পূর্ব মেদিনীপুর আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জলোচ্ছ্বাস হবে। পূর্ব মেদিনীপুরে ২-৪ মিটার এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২ মিটার।
মেদিনীপুরে সব থেকে বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এবারের ঘূর্ণিঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা পূর্ব মেদিনীপুরে। সেখানে ঝড়ের বেগ সর্বোচ্চ হতে পারে ঘন্টায় ১৪৫ কিমি। আবহাওয়া দপতর জানিয়েছে এদিন দুপুরে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের বেগ সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৭৫ কিমি। যা যত উপকূলের কাছে আসবে, ততই বাড়বে। আর বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘন্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিমি। সর্বোচ্চ ১৪৫ কিমি। ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে হবে ৮০-৯০ কিমি। সর্বোচ্চ ১২০ কিমি। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮০-৯০। সর্বোচ্চ ১০০ কিমি। উত্তর ২৪ পরগনায় ৭০-৮০। সর্বোচ্চ ৯০ কিমি। কলকাতায় ৬৫-৭৫। সর্বোচ্চ ৮৫ কিমি। আর বীরভূম ও মুর্শিদাবাদকে বাদ দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ৬০-৮০। সর্বোচ্চ ৯০ কিমি। বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ৫০-৬০। সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৭০ কিমি।
দূরত্বই বাঁচিয়ে দিল কলকাতাকে
ওড়িশার বালাসোরের দক্ষিণে যেখানে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে, সেখান থেকে কলকাতার দূরত্ব ২০০ কিমির বেশি। সেই কারণেই কলকাতায় ঝড়ের বেগ সর্বোচ্চ হতে পারে ঘন্টায় ৮৫ কিমি। আর বৃষ্টির ক্ষেত্রে পূর্বাভাস অনুযায়ী ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। কলকাতায় বৃষ্টি হবে, হাওয়া হবে, সবই থাকবে, কিন্তু আম্ফানের মতো আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এমনটা জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত আম্ফান আঘাত করেছিল এই রাজ্যের উপকূলে। তারপর তা চলে গিয়েছিল বাংলাদেশে।
আবহাওয়া দফতরের নির্দেশিকা
আবহাওয়া দফতরের থেকে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে মৎস্যজীবীদের ওপরে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা বলবত করা হয়েছে। এছাড়াও পর্যটকের ওপরেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বন্দর এবং নৌঘাঁটিগুলিকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সম্ভাব্য ঝড় প্রভাবিত এলাকার মানুষদনকে ঘরের ভিতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কোথায়, কখন আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, স্পষ্ট করার চেষ্টায় আবহাওয়া দফতর