ভাইফোঁটার আগে এলো না দীনাঙ্করের ফোন, বদলে বর্ধমানে পৌঁছল এক চরম দুঃসংবাদ
বাজারটা সেরেই ক্যাম্পে ফিরে ফোন করার কথা ছিল। কিন্তু, তার বদলে বৃহস্পতিবার বিকেল বর্ধমানের ইছলাবাদ ঘোষপাড়ায় পৌঁছেছিলো এক চরম দুঃসংবাদ।
বাজারটা সেরেই ক্যাম্পে ফিরে ফোন করার কথা ছিল। কিন্তু, তার বদলে বৃহস্পতিবার বিকেল বর্ধমানের ইছলাবাদ ঘোষপাড়ায় পৌঁছেছিলো এক চরম দুঃসংবাদ। স্বামী দীনাঙ্কর আর নেই একথাটা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। সকালেও কথা হয়েছিল স্বামীর সঙ্গে। তখনই বছর বাহান্নর দীনাঙ্কর জানিয়েছিলেন মেসের কিছু আনাজ-পাতি কেনার জন্য বাজারে এসেছেন।
বর্ধমানের ৩ নম্বর ইছালাবাদ ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা মুখোপাধ্যায় পরিবারের চার ভাইয়ের সংসারে মেজ দীনাঙ্কর। বায়ুসেনা থেকে অবসর নেওয়ার পর সিআইএসএফ-এর চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। ভোটের ডিউটি করতে দান্তেওয়াড়া গিয়েছিলেন তিনি। বর্ধমানের বাড়িতেই থাকেন স্ত্রী মিতা ও ছেলে দেবজিৎ। ছেলে সেন্ট জেভিয়ার্স-এর একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
মহালয়ার আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন দীনাঙ্কর। পুজোর আগেই ফিরে গিয়েছিলেন ডিউটিতে। হাসিখুশি মানুষ বলেই দীনাঙ্করের পরিচিত পাড়ায়। প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে পাড়ার বাসিন্দা মুখোপাধ্যায় পরিবারের এমন শোকের দিনে প্রতিবেশীরাও এগিয়ে এসেছেম সমবেদনা জানাতে। স্বামীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই চুপচাপ হয়ে একই জায়গায় বসে রয়েছেন মিতা। ছেলে দেবজিৎ-এর প্রায় একই অবস্থা। ভাইফোঁটার একদিন আগে এমন মর্মান্তিক খবর তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিল তা এখনও মেনে নিতে পারছেন না মিতা ও দেবজিৎ। এক লহমায় উৎসবটা যে এত মলিন হয়ে যাবে তা যেন কল্পনাতেও আনতে পারছেন না তাঁরা।