দলের নেতাদের মজ-মস্তির জন্যই বার খোলা, লকডাউনের বিধি শিথিল নিয়ে মমতাকে নিশানা করে বিস্ফোরক দিলীপ
দলের নেতাদের মজ-মস্তির জন্যই বার খোলা, ফের মমতাকে নিশানা করে বিস্ফোরক দিলীপ
লকডাউনের (locldown) বিধি নিষেধ শিথিল করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) নিশানা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। এদিন তিনি বলেছেন, দলের নেতার মজ-মস্তি করবেন, তাই বার খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়।
রাজ্যে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল
এবার রাজ্যে লকডাউন শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। বলা হয়েছে আত্মনিয়ন্ত্রণ। সেই আত্মনিয়ন্ত্রণ কমানো হয়েছে সোমবারের ঘোষণায়। অর্থাৎ বেশ কিছু নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। ১৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি বেসরকারি অফিস খোলা যাবে। অফিসগুলিকে তাদের কর্মীদের যাতায়াতের বন্দোবস্ত করতে হবে। দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত বার রেস্তোরাঁ খোলা থাকবে। শপিং মল থোলা যাবে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে। ৩০ শতাংশ ক্রেতা ঢুকতে পারবেন সেখানে। তবে স্কুল, কলেজ, ট্রেন, বাস পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
বিধিনিষেধকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
এদিন বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, স্কুল চালু থাকলে সরকারের খবর হয় আর বার খোলা থাকলে সরকারের লাভ হয়। আর বার খোলা থাকলে পার্টির নেতার মজ-মস্তি করতে পারবেন। তাই স্কুল বন্ধ করে নির্দিষ্ট সময়ে বার খোলা অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শোভন-বৈশাখী যাওয়ার পার্টির ক্ষতি হবে না
নারদ কাণ্ডে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতারের পরে মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন বান্ধবী বৈশাখী। এবার শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে করেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় চলে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। প্রায় একঘন্টা তাঁরা সেখানে ছিলেন। বেরোর পরেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন। বৈশাখী জানিয়েওছেন ভোটের আগেই শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপি ছেড়েছিলেন। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ভোটের আগে ঢেউতে অনেকেই নিজের মতো করে বিজেপিতে এসেছিলেন। আবার তাঁরা নিজের মতো করেই চলে যাচ্ছেন। এতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। কেননা পুরনো নেতা-কর্মীরা দলেই রয়েছেন।
রাজভবনে গিয়েছিলে কাছের বিধায়করা
রাজভবনে বিজেপির ৫১ জন বিধায়কের উপস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ডাকা হয়েছিল ৩১ জনকে, এসেছিলেন ৫১ জন। করোনা আবহে মূলত কাছের বিধায়করাই এসেছিলেন। এদিন দিলীপ ঘোষ রাজ্যপালের কাজেও প্রশংসা করেছেন। বুক চিতিয়ে রাজ্যপাল কাজ করছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি এদিন তিনি শীতলকুচির ঘটনার তদন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে করার দাবিও করেছেন।