বাংলার বিজেপি প্রধান দিলীপ ঘোষ কি ইস্তফা আদৌও দিতে চেয়েছিলেন! রুদ্ধশ্বাস বৈঠকে কী ঘটেছে
বঙ্গ রাজনীতিতে গত কয়েকদিন তোলপাড় ফেলে দেয় মুকুল রায়কে ঘিরে একের পর এক খবর। দিল্লিতে বিজেপির হাইপ্রোফাইল বৈঠকে বাংলা রাজনীতির চাণক্য় মুকুল রায় সাইডলাইন হতেই বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। এরপর মুকুলের প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের দুঁদে বিজেপি নেতা তথা বঙ্গ বিজেপির প্রধান দিলীপ ঘোষ খবরে!
ক্ষমতা, বিজেপি ও দিলীপ
২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপি কার্যত দ্বিধাবিভক্ত। একদিকের ক্যাম্প যদি মুকুল রায়ের নেতৃত্বে থাকে, তো অন্য দিকে ক্যাম্পে দিলীপ ঘোষ। গেরুয়া শিবিরের অন্দরে এই গল্প অনেকদিনের। তবে সেই ক্যাম্পের মাধঅযমে দলের বিভাজন আরও প্রকট হচ্ছে বলে খবর। ক্ষমতার দণ্ড কার হাতে থাতকেব , সেই লড়াইয়ের জেরে রাজ্য বিজেপি প্রধান ইস্তফা দিতে চেয়েছেন একটি বিশেষ পরিস্থিতির বশবর্তী হয়ে। এনই খবর রটে যেতে থাকে।
দিল্লির বৈঠক
মুকুল ঘনিষ্ঠ এক নেতা দিল্লিতে বিজেপি হাইকমান্ডের কাছে দিলীপের নামে অভিযোগ করেন বলে খবর। বাংলার ওই বিজেপি সাংসাদের দাবি ছিল, দিলীপ ঘনিষ্ঠ নেতারাই কেবল দলে প্রাধান্য পাচ্ছেন, বাকিদের কথা শোনা হচ্ছে না। যারপরই নাকি রুদ্ধদ্বার বৈঠকের তাপমাত্রা চড়তে থাকে। একটা সময় দিলীপ ঘোষ নিজে ইস্তফা রাজ্য সভাপতির দিতে চান বলে খবর রটে যায়।
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য
যদিও মিডিয়ার প্রশ্নেক মুখে পড়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, 'সব বানানো গল্প'। তাঁর দাবি, যেদিন থেকে তিনি দিল্লির বৈঠকে গিয়েছেন, তবে থেকেই মিডিয়া বানিয়ে এরকম খবর প্রকাশ্যে আনতে শুরু করেছে।
মুকুলের সুর বইছে বিজেপির কোন মহলে?
এদিকে, জানা গিয়েছে, মুকুল রায় যে সুরে কথা বলেছেন বৈঠকে সেই একই সুরে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংও কথা বলেছেনয তিনি জানান, দলের ৩ জন নেতা গোটা ক্ষমতা নিজের মুঠোয় রেখেছেন। কুক্ষিগত ক্ষমতার জন্য জেলাস্তরে বিজেপি হালে পানি পাচ্ছে না । আর এরকম চলতে থাকলে ২০২১ বিধানসভা ভোট দূর অস্ত।
মুকুল কী বলেছিলেন?
এক খবর অনুযায়ী, মুকুল রায়ের দাবি, মুকুল মনে করছেন বাংলার গ্রাউন্ড রিয়ালিটিতে নেমে দেখতে হবে যে বিজেপির কী পরিস্থিতি। এদিকে, পার্টি হাইকমান্ড ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ১৯০ টি জেতা বিজেপি সময়ের অপেক্ষা মনে করছেন। তবে মুকুল রায়ের দাবি, বাস্তবের মাটিতে পরিস্থিতি তাই নয়। ১৯০ এর অঙ্ক পেতে গেলে পার্টিকে বহু কঠিন রাস্তা পার হতে হবে বলেও মুকুল শিবিরের বার্তা। আর এই বাংলায় বাস্তবের মাটির সঙ্গে মুকুল , অর্জুনদের পরিচিতি যতটা ততটা দিলীপদের নেই বলে দাবি করা হয়।
অর্জুনের বার্তা
দিল্লিতে বিজেপির তরফে সদ্য এক হাইভোল্টেজ বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে বিধানসভা ভোটের রূপরেখা স্থির করা হচ্ছিল। আর সেই সাতদিন ব্যাপী বৈঠকের শেষ পর্বে এসে রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। পার্টিতে মুকুল রায় ব্যাকফুটে যেতেই তাঁর পন্থায় বিশ্বাসী অর্জুন সিং একচুলও জমি ছেড়ে কথা বলছেন না!