কলকাতায় ১০ হাজার কৃষকের সমাবেশ করে দেখান! মমতাকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবার কৃষক সমাবেশের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবার কৃষক সমাবেশের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, হিম্মত থাকলে কলকাতায় ১০ হাজার কৃষকের সমাবেশকে করে দেখান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ হাজার কৃষকের সমাবেশ করলে তার পাঁচগুণ প্রদর্শন করব আমরা।
আজ আর কৃষকরা তৃণমূলের সঙ্গে নেই!
দিলীপ ঘোষ বলেন, "আজ আর কৃষকরা তৃণমূলের সঙ্গে নেই। কৃষকরা রয়েছেন বিজেপির সঙ্গে। কৃষক সমাবেশ করেই তার প্রমাণ দিতে পারে বিজেপি। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর নেতাদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি যে, তাঁরা ১০ হাজার কৃষককে জড়ো করুন কলকাতায় একটি সমাবেশ করার জন্য। আমরা ৫০ হাজার কৃষককে সংগঠিত করব।
রাজ্যে তো কোনও প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন না মমতা!
দিলীপ ঘোষের কথায়, কৃষকরা নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রয়েছেন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘আমার বুথ সবচেয়ে মজবুত' অভিযানের সূচনা করে তিনি বলেন, রাজ্যের কৃষকরা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের পক্ষে নয়। তিনি অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন, কই রাজ্যে তো কোনও প্রতিবাদ সমাবেশ করতে পারছেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত বিজেপি রাজ্য সভাপতির
বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ সংসদ সদস্যকে নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সমর্থন জানাতে সীমান্তে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে পাঠিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন এবং তাঁদের সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
নরেন্দ্র মোদী কঠোর সমালোচনা করেন মমতার
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কঠোর সমালোচনা করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যে কৃষকদের বঞ্চিত করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মাননিধি প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্যের লক্ষাধিক কৃষককে বঞ্চিত করে রেখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের অধীনে প্রতি কৃষককে বছরে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীকে জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী অর্ধ-সত্য এবং বিকৃত সত্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। মমতা জবাবে লেখেন, "যখন আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এতগুলি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি, তখন কৃষকদের উপকারী কোনও প্রকল্পে সহযোগিতা করব না কেন! প্রধানমন্ত্রীর ওই সমালোচনা অযৌক্তিক বলে ব্যাখ্যা করেন মমতা। সত্য এটাই যে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার রাজনীতি করার জন্যই এসব করেছে।