রাস্তা দিয়ে দৌড় করাব, পিঠের চামড়া গুটিয়ে নুন ছিটিয়ে দেব, ‘মাত্রাছাড়া’ তোপ দিলীপের
আগেই বলেছিলেন, ‘বদল ফদল বুঝি না, ক্ষমতায় এলে বদলা।’ আর শনিবার সরাসরি দিলীপ ঘোষের তোপ, ‘ক্ষমতায় এলে ওদের রাস্তা দিয়ে দৌড় করাব। তারপর পিঠের চামড়া গুটিয়ে নুন ছিটিয়ে দেব।’
ইসলামপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বনধের ডাক দিয়েই রাজ্যের শাসকদেলর বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেছিলেন, 'বদল ফদল বুঝি না, ক্ষমতায় এলে বদলা।' আর শনিবার সরাসরি তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগলেন, 'ক্ষমতায় এলে ওদের রাস্তা দিয়ে দৌড় করাব। তারপর পিঠের চামড়া গুটিয়ে নুন ছিটিয়ে দেব।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'বদলা নয় বদল চাই' স্লোগানে রাজ্যের ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছিলেন। আর দিলীপ ঘোষরা প্রচ্ছন্ন হুমকির পথে রাজ্যে বদল আনতে চান। একেবারেই ঘোষিত যে, রাজ্যে ক্ষমতায় এলে বদলা হবে। ইসলামপুরে সভা করে তিনি বলেন, 'বদল হলে বদলা হবে।'
তাঁর কথায়, 'যেদিন বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে সেদিন শুধু ওরা চিৎকার করতেই থাকবেন। কেউ দেখা করতে যাবে না। প্রথমে রাস্তা দিয়ে দৌড় করাব, তারপর পিঠের চামড়া গুটিয়ে দিয়ে নুন ছড়িয়ে দেব। রাস্তায় পড়ে ছটকাবে। কেউ জলও দেবে না, ওষুধ কোন ছার।' কীভাবে বদলা নেবেন তিনি, তা সবিস্তারে বর্ণনা করলেন দিলীপ ঘোষ।
এদিন প্রকাশ্যেই হুঁশিয়ারি দিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর হুঁশিয়ারি শুনে তৃণমূল নেতা অরিন্দম সরকারের প্রতিক্রিয়া, 'পাগল হয়ে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।' দিলীপ ঘোষকে উজবুক হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। বলেন, 'ওসব পাগল-উজবুকের আঘাত-প্রত্যাঘাত নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। বিজেপিকে আমরা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব। আর তা করতে আমরা প্রস্তুত।'
এদিন বিজেপির এই সভায় যোগ দিতে আসেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জেপি নাড্ডা। তাঁর সফরের আগে সার্কিট হাউজের হবুকিং বাতিল হয়ে যায়। এই বুকিং বাতিলের পিছনে রাজ্য সরকার কলকাঠি নেড়েছে বলে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার কোনও নিয়মনীতিই মানছে না। দিলীপ ঘোষের এই সভার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল পাল্টা সভা করে ১০ গুণ জমায়েত করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।