শীতলকুচিকাণ্ডে মমতাকে বেনজির আক্রমণ দিলীপ ঘোষের, কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় ৪৪ আসনে ভোট গ্রহণ হয়। আর ভোটের দিনের হিংসা কার্যত আগের দফার সংঘাতকেও হার মানিয়েছে! ভোটের দিন ৫ জনের মৃত্যু ঘিরে সকাল থেকেই তোলপাড় ছিল রাজ্যরাজনীতি। এদিকে, ঘটনার পর রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের মন্তব্যেও সরগরম হয় বাংলা। এরই মাঝে মমতা বনাম দিলীপ ঘোষের সংঘাত আরও চড়ে বঙ্গ বিজেপির প্রধানের নয়া মন্তব্যে।
শীতলকুচির ঘটনা ও মমতা
চতুর্থ দফার ভোটে যখন উত্তরবঙ্গে রক্ত ঝরল তখন দক্ষিণবঙ্গে ভোট প্রচারের মঞ্চ থেকে একের পর এক তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মমতা তাঁর পদত্যাগ চান। এছাড়াও সিবিআই তদন্ত ঘটনায় যে হবে, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিকে, মমতার সাফ দাবি 'গুলি চালিয়ে সেল্ফ ডিফেন্স বলছে' বাহিনী। সেই নিয়েও ক্ষোভ পুষে রাখেননি নেত্রী।
শীতলকুচি ও মমতা বনাম মোদী
মমতা বলেছেন, 'আজকের ঘটনা (শীতলকুচি)র জন্য দায়ী অমিত শাহ। উনিই ষড়যন্ত্রকারী। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দায়ী করব না। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করে চলেছে। ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এমন বক্তব্যে চতুর্থ দফার পারদ চড়িয়েছেন তখন একই দিনে মোদী সুর চড়িয়ে বলেন, 'দিদি সমস্যা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে নয়, সমস্যা আপনার হিংসার রাজনীতিতে নিয়ে।'
কমিশনের পদক্ষেপ
এদিকে, নির্বাচন কমিশনও শীতলকুচি নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জানান যে তিনি ঘটনার পরদিনই শীতলকুচির পরিস্থিতি দেখতে যাবেন, তার খানিক পরেই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে আগামী ৭২ ঘণ্টায় শীতলকুচিতে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রবেশ করতে পারবে না।
দিলীপ ঘোষের মন্তব্য
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি বেনজির আক্রমণ শানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। তিনি মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল ফোর্সকে ঘিরতে ইভিএম আটকাতে।' এরপরই দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে 'সমাজ বিরোধীরা' ভোট করত। বঙ্গ বিজেপি প্রধানের দাবি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খেপিয়েছেন। তারা সেন্ট্রাল ফোর্সের উপর হামলা করেছে। গুলি খেয়েছে।' একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দাবি, 'আমার মনে হয় ওঁর (মমতার) বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হওয়া উচিত। প্রচার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা দরকার।'