মুখ্যমন্ত্রীর মমতার মুখে সংবিধান-মানসম্মানের কথা, প্রশ্ন তুলে তীব্র আক্রমণ দিলীপের
মুখ্যমন্ত্রীর মমতার মুখে সংবিধান-মানসম্মানের কথা, প্রশ্ন তুলে তীব্র আক্রমণ দিলীপের
কলাইকুন্ডায় ইয়াস নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে না থাকা নিয়ে শনিবার জবাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। কিছুক্ষণের মধ্যে তার উত্তর দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। এবার প্রতিক্রিয়া জানালেন, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। এদিন তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে মান সম্মান, সংবিধানের কথা মানায় না।
মদনের 'মেরে স্বপ্নে কি রানি’ গানে মন্ত্রিত্বের বার্তা, জামিন মুক্তির পর জানালেন কী চান
রাজনৈতিক রং দেখে ত্রাণ বিলির অভিযোগ
রাজনৈতিক দল দেখে ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে। এদিন সকালে খড়গপুরে এমনটাই মন্তব্য করেছেন, মেদিনীপুরের সাংসদ কথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি আইমা এলাকায় মাস্ক বিলি করেন। সেখানে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, দুয়ারে ত্রাণ, রেশন, ভ্যাকসিন সবই পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার। তাঁর সময় নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা দিলীপ ঘোষের
এদিন শুক্রবার কলাইকুণ্ডায় ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অবস্থান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, সারা দুনিয়ে দেখেছে, উনি মুখ্যসচিবকে নিয়ে ঢুকলেন আবার বেরিয়েও গেলেন। দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন এটা কোন ভদ্রতার মধ্যে পড়ে। তাঁর আরও প্রশ্ন এটা কোন ধরনের সম্মান?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে মান সম্মান মানায় না
দিলীপ ঘোষ সুর চড়িয়ে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে সংবিধান, মান সম্মান মানায় না। তিনি রাজনীতি করতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।
মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান
শুক্রবারের পর্যালোচনা বৈঠকের পরে ওই বৈঠকের একটি ছবি নিয়ে সন্ধের দিকে টুইটে আক্রমণ শানাতে থাকেন বিজেপির বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতা থেকে মন্ত্রীরা। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর বাঁদিকে কয়েকটি আসন ফাঁকা। শনিবার যা নিয়ে জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ফাঁকা চেয়ারের ছবি দিয়ে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু তিনি যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, সেই ছবি প্রচার করা হয়নি। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসা পরায়ন মনোভাব নিয়েছে। তাঁকে প্রতিপদে অপমান করা হচ্ছে। তাঁর এবং মুখ্যসচিবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই একের পর এক টুইট করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, আগে থেকেই তাঁর কর্মসূচি ঠিক করা ছিল বলে পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তিনি সেখানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব সম্বলিত পত্রও তুলে দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমতি নেন, তাঁর পরবর্তী কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পিএমও-র তরফে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা পর্যালোচনা বৈঠকে থাকবেন, জানানোর পরেই তা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল নবান্নের তরফে।