বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহীর সংখ্যা বাড়ছে, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে কড়া বার্তা দিলীপের
বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহ থামছেই না। প্রতিদিনই নিয়ম করে অস্বস্তি বাড়ছে বঙ্গ বিজেপিতে। অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন দলের নেতারাই।
বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহ থামছেই না। প্রতিদিনই নিয়ম করে অস্বস্তি বাড়ছে বঙ্গ বিজেপিতে। অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন দলের নেতারাই। এ ব্যাপারে এবার কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, বিপ্লব করে খবরে থাকার চেষ্টা করবেন না। তাতে ফলে ভালো হবে না।
বঙ্গ বিজেপিতে সাম্প্রতিক রদবদলের পর বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন দলের বিধায়ক-সাংসদরা। এমনকী এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকেও। প্রথম মতুয়া গড় থেকেই বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়। বিজেপির বিধায়করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরে যেতে শুরু করেন। তারপর কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দেন।
শুধু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েই বিদ্রোহ থেমে থাকেনি, শান্তনু ঠাকুর বিদ্রোহী নেতাদের এক করে সমান্তরাল সংগঠন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও দেন। বঙ্গ বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি বিদ্বেষপোষণ করে তিনি জানিয়ে দেন তাঁদের লড়াইয়ে বিজেপির সবাই পাশে আছেন। বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদককে তৃণমূলের দালাল বলতেও পিছপা হননি তাঁরা। এরপর মতুয়াদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক এবং বিদ্রোহী নেতাদের নিয়ে বনভোজনের ব্যবস্থাও করেন তিনি।
বিজেপির ঘটে চলা এইসব ঘটনা পরম্পরায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। দিলীপ ঘোষের কথায় এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কড়া অবস্থানই প্রতিফলিত হল। দিল্লিতে একপ্রস্থ বৈঠকের পর কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে নিশানা করেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন, বিদ্রোহ করে খবরের থাকার চেষ্টা করে কোনও লাভ হবে না। বিজেপি এসব নাটক রেয়াত করবে না।
দিলীপ ঘোষ নয়াদিল্লিতে বলেন, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিজে বিজেপিতে এসেছেন নতুন। বিজেপি তাঁরে পদ দিয়েছে, সম্মান দিয়েছে, সাংসদ করেছে আবারও মন্ত্রীও করেছে। তিনি একটি সামাজিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। ফলে তাঁকে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে। এইসব বিষয় মাথায় রেখেই তাঁকে কথা বলতে হবে।
দিলীপবাবু বলেন, বিজেপিতে অভিযোগ জানানোর জন্য নির্দিষ্ট কমিটি রয়েছে। কোনও অভিযোগ থাকলে সেই কমিটিকে জানাতে হবে। শৃঙ্খলা রেখেই তাদের দাবি তুলে ধরা উচিত। এবং দলও সেইমতো ব্যবস্থা নেবে। কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা রয়েছেন, তাঁরাই দেখবেন পুরো বিষয়টি। অযথা বিদ্রোহ করে দলকে অস্বস্তিতে ফেললে দলও তার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে, সাবধান করে দেন তিনি।
দিলীপবাবুর কথায়, যে কোনও পরিব্রতন হলেও তার প্রতিক্রিয়া হয়। কিন্তু বিপ্লব করে তো খবরে থাকার চেষ্টা করলে তো হবে না। দিল্লির নেতারা ব্যস্ত রয়েছেন পাঁচ রাজ্যের ভোট নিয়ে। ফলে একটা গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এই সমস্যা মিটে যাবে। মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা গড়ে তোলা দরকার, না হলে তা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের আওতায় পড়বে। তখন পার্টি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।