মুখ্যমন্ত্রী মমতার জেদের কারণেই মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই, সেনা-তরজায় দিলীপের বাণ
মুখ্যমন্ত্রী মমতার জেদের কারণেই মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই, সেনা-তরজায় দিলীপের বাণ
আম্ফানের পর কেটে গিয়েছে চারদিন। তবু বিপর্যয়ের রেশ কাটল না। স্বাভাবিক করা তো দূর অস্ত, এখনও গাছ সরানো বা ত্রাণ দেওয়ার কাজই শেষ করতে পারল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। এই মর্মে মমতার প্রশাসনকে চরম কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, কেন আগে সোনা ডাকলেন না মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী আগে থেকে সতর্ক হননি
বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী আগে থেকে সতর্ক হননি। তাই আগে থেকে তিনি সেনা নামানোর ভাবনাও করেননি। কিন্তু বিপর্যয় সামাল দিতে তাঁকে সেনা নামাতে হল। কিন্তু সেই সেনা তিনি নামালেন অনেক পরে। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, সেনা ছাড়া এই পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব ছিল না।
সেনা নামাতেই কাজে তৎপরতা
দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সক্রিয় হতেন, তবে তিনি আগে থেকেই সোনা মোতায়েন রাখতেন। তিনি বলেন, ১০ লক্ষ বাড়ি ভেঙেছে। কিন্তু সেই বাড়ি সরানোর লোক কোথায়। এই কাজে সেনার থেকে বেশি তৎপরতা কেউই দেখাতে পারে না। সেনা নামাতেই কাজে তৎপরতা দেখা গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সেনা নামানোয় দেরি
দিলীপ ঘোষের কথায়, আমরা আগেই সেনার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সে কথা শোনেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যদি তখন আমাদের কথা শুনে সেনা নামাতেন, তাহলে চারদিন পর এই পরিস্থিতি থাকত না। মানুষ পরিষেবা পেতে শুরু করত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিজের গরজে সেনা নামানোয় দেরি করায় তা সম্ভব হয়নি।
এসব হচ্ছে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর জেদের কারণে
উল্লেখ্য দিলীপ ঘোষকে বিভিন্ন জায়গায় আটকানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ত্রাণ পৌঁছনোর জন্য গিয়েছিলেন। তাঁকে গড়িয়ার কাছে আটকানো হয়। এদিন তাঁকে আটকানো হয়ে মেচেদার কাছে। বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলে জানান, পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ রাজ্য। এসব হচ্ছে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর জেদের কারণে।
করোনা ভাইরাসের উৎস-সন্ধান! এক শর্তে আমেরিকার পাশে দাঁড়াতে রাজি চিন