মমতা হাত থেকে লাশ-চুরি! সংখ্যালঘু বলেই এত রাজনীতি, আনিস-কাণ্ডে দিলীপ
হাওড়ার আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই অবস্থায় আনিস-কাণ্ডে বিতর্কিত পোস্ট করলেন বিজদেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
হাওড়ার আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই অবস্থায় আনিস-কাণ্ডে বিতর্কিত পোস্ট করলেন বিজদেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি তাঁর পোস্টে তৃণমূলকে নিশানা করে লিখলেন, বিজেপির বেলায় অমানবিক মনে হয় না, আনিস সংখ্যালঘু বলেই এত রাজনীতি হচ্ছে।
দিলীপ ঘোষ লেখেন, ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি ৬০ জন নেতা-কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল। তখন সেটাকে কেউ আমানবিক আখ্যা দেয়নি। এখন ধর্মনিরপেক্ষ সবাই আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতিতে নেমেছে। তাঁরা রাজনীতি করছেন আনিস খান মুসলিম ছাত্র বলেই। আনিস-কাণ্ডে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় গাছের জডালে ঝুলন্ত মৃতদেহের একিট ছেবি পোস্ট করে দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, বাড়ির অদূরে উদ্ধার বিজেপি কর্মীর দেহ। আবারও খুন হল বিজেপি কর্মী। আমবাগানে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হল। তিনি লেখেন এভাবে বিজেপির ৬০ জন কর্মীকে খুন করেছেন তৃণমূলের গুন্ডারা। কিন্তু তখন কারও তা অমানবিক বলে মনে হয়নি।
দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপি কর্মী খুন হলে কাউকে মানববন্ধন করতেও দেখা যায় না, বুদ্ধিজীবীরাও পথে নামেন না। আনিস খান যেহেতু মুসলমান তাঁকে নিয়ে এত রাজনীতি করা হচ্ছে। মৃত্যুর পর আনিস খান সবার হয়ে হয়েছে। আনিস খানের ধর্মীয় পরিচয় তুলে ধরে এভাবে বিতর্কিত মন্তব্যে ফের ঝড় উঠতে চলেছে রাজ্য রাজনীতিতে।
দিলীপবাবু এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন লাশ চুরি করতেন। এখন তাঁর হাত থেকেই লাশ চুরি হয়ে গেল। আমরা চাই রাজনীতি না করে এর প্রকৃত তদন্ত হোক। একটা ছেলে সন্দেহজনকভাবে মারা গিয়েছে। বাড়ির লোক আলাদা কথা বলছে, পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলছে না। তাই এর সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার। আসল কারণ সামনে আসুক। আনিসের মৃত্যু-রহস্য ধামাচাপা দিতেই সিট গঠন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও সারদা-নারদাতে সিট গঠন হয়েছিল। তার কিছুই হয়নি।
দিলীপ ঘোষ বিতর্কিত মন্তব্য করলেও শুভেন্দু অধিকারী এ ব্যাপারে সাবধানী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বলেন, আনিস খানের বাবা যদি আদালতে লড়তে চান, কিংবা সিবিআই চান, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর পাশে আছে। শুভেন্দু অধিকারী এদিন রাজ্য প্রশাসনের দিকে তাক করে জানিয়ে দেন, আনিস খানকে হত্যা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ।