মোদীর কথায় ঘরে ছিলাম, মমতার 'রাজনীতি' রাস্তায় নামিয়ে দিল! করোনা পরিস্থিতিতে দিলীপ
মোদীর কথায় বসেছিলাম, মমতার উদ্যোগ রাস্তায় নামিয়ে দিল! করোনা পরিস্থিতিতে দিলীপ
দেশ ছাড়িয়ে বাংলার বুকে যখন হানা দিয়েছে করোনার প্রাদুর্ভাব, তখন একা কুম্ভ হয়ে লড়াই চালিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা রুখতে পরিকল্পনা থেকে লকডাউনে মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় তিনি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে মোকাবিলা করছেন। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে ময়দানে নামলেন বিজেপি নেতারাও। তাঁরাও ত্রাণ বণ্টণে ঝাঁপালেন।
রাজনীতি পিছু ছাড়ল না বাংলাকে
স্বভাবতই করোনার প্রকোপেও রাজনীতি পিছু ছাড়ল না বাংলাকে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের জেরে রাজনীতির লড়াইয়ে নেমে পড়ল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। এতদিন তৃণমূল কংগ্রেস একা ত্রাণ নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। এবার রাস্তায় নাম বিজেপিও। দিলীপ ঘোষ-সব্যসাচী দত্ত রাস্তায় নামতেই শুরু হল বিতর্ক।
সেবার নামে রাজনীতি, মমতাকে একহাত
আর এই বিতর্কের আবহেই দিলীপ ঘোষের স্পষ্ট বিবৃতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাড়িতে বসেছিলাম। কেউ আমরা বাড়ি থেকে বের হইনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের নামতে বাধ্য করলেন। তিনি সেবার নামে রাজনীতি শুরু করেছেন। তাই আমাদেরও নামতে হয়েছে ত্রাণ নিয়ে।
বিজেপিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ
দিলীপের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর দলের নেতানেত্রীরা যেটা করছেন, সেটা সেবার জন্য নয়। তাঁরা রাজনীতি করছেন সেবার নামে। আমরা প্রথম মোদীজির আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিজেদের ঘরবন্দি রেখেছিলাম। এখন লকডাউনের আবহে মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দিচ্ছি। সাবধানতা অবলম্বন করে ত্রাণ বণ্টন করলেও আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফে।
সব্যসাচী দত্তকে হুঁশিয়ারি, পাল্টা নালিশ
দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা রাজ্য সরকারকে সমস্তরকম সহযোগিতা করতে রাজি। কিন্তু রাজ্য সরকার সেভাবে সহযোগিতা করছে না। তাই আমাদের ত্রাণ বণ্টণে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত রাস্তায় বেরিয়ে ত্রাণ বণ্টন করায় তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। গ্রেফতারের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন।