অটোয় করে এসে বাড়ির সামনে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতা, নিজেদের দলাদলি, দাবি দিলীপের
অটোয় করে এসে বাড়ির সামনে গুলি করে খুন, নিজেদের দলাদলি, দাবি দিলীপের
অটোয় চেপে এসে বাড়ির সামনে গুলি করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। ক্যানিংয়ের ঘটনা নেহাতই দলীয় সংঘাত বলে দাবি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন ওদের নিজেদের মধ্যে গুলি চলাটা নতুন কিছু নয়। গুলি দিয়েই ওদের ফয়সালা হয়। এখানে বিরোধী বলে কিছু নেই।
ক্যানিংয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুন
অটোয় চড়ে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। শনিবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মহরম শেখকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় ৫-৬ জন আতাতীয়। তারপরে অতর্কিতেই সেখান থেকে অটোয় চড়ে চম্পট দেয় তারা। তৃণমূল কংগ্রেস নেতার হাতে ও বুকে গুলি লেগেছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূল কংগ্রেসেরই হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় দুই দুষ্কৃতী রফিক শেখ এবং মঞা রউফের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
দিলীপ ঘোষের দাবি
ক্যানিংয়ে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনাকে দলাদলি বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি রবিবার সকালে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে বলেছেন, 'ওখানে বিরোধী আছেটা কে? তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে গুলি চলাটা নতুন কিছু নয়। ওদের গুলি দিয়েই সব ফয়সালা হয়।' কাজেই এই ঘটনায় যে একেবারেই বিজেপির হাত নেই সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের দলাদলিতেই যে এই ঘটনা ঘটেছে সেটা দাবি করেছেন বিজেপি নেতা। রাজ্যে খুন আর সন্ত্রাসের রাজনীতি করতে করতে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের লোকেদেরই মারছে নিজেদের নেতাদের। তিনি আরও বলেছেন, 'ওদের সব স্তরের নেতারাই ভাগ বাটোয়ারার ব্যাপারে, কাটমানির ব্যাপার কম বেশি হলেই গুলি দিয়ে ফয়সালা করেন। পুলিশও কিছু নয়, প্রশাসনও কিছু নয়। পার্টিরও কেউ কোনও কিছু মানে না। পশ্চিমবাংলায় এই হিংসার রাজনীতিই চলছে। অপরাধীরা তৃণমূলে ঢুকে পুরো সমাজের মধ্যে হিংসা ছড়িয়ে যাচ্ছে।'
ক্যানিংয়ের ঘটনায় কাদের যোগ
ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আটজনকে আটক করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। রাতভর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে আটজনকে আটক করা হয়। স্থানীয় দুই দুষ্কৃতী রফিক শেখ ও মিঞা রউফের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মহরম শেখের উপর ৬ মাস আগেও একবার হামলা হয়েছিল। তারপরেই ফের হামলায় পুরনো শত্রুতার গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে পুলিশ।
অভিযোগের তির বিজেপির দিকে
এদিকে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ ৬ মাস আগেও বিেজপি টার্গেট করে রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। সেটা শেষ পর্যন্ত সফল না হওয়াতেই দ্বিতীয়বার টার্গেট করা হয়। কাজেই এই ঘটনায় বিজেপি হাত রয়েছেন বলে দাবি করেছে তারা। যদিও বিজেপি সেসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।