তৃণমূলই ময়লা সাফাই করে দিচ্ছে! তৈরি হচ্ছে বিজেপিতে থাকা দালালদের তালিকা, রাজীব প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দিলীপ
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (rajib banerjee) দলে রাখার চেষ্টা করেছিল বিজেপির (bjp) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হওয়ায় হেস্টিংসে তাঁর জন্য বরাদ্দ ছিল আলাদ ঘরও। কিন্তু সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় (tripur
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (rajib banerjee) দলে রাখার চেষ্টা করেছিল বিজেপির (bjp) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হওয়ায় হেস্টিংসে তাঁর জন্য বরাদ্দ ছিল আলাদ ঘরও। কিন্তু সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় (tripura) গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (abhishek banerjee) হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছেন। যা নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করে নিশানা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (dilip ghosh)।
তৃণমূলের দালাল বিজেপিতে
নির্বাচনের আগে বিজেপির ডাক ছিল ইসবার ২০০ পার। সেই সময় দলে দলে তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের ফলে বিজেপি তিন সংখ্যার আনেক আগেই থেমে যায়। সেই পরিস্থিতিতে উল্টো স্রোত দেখা দেয়। ভোটের পর থেকে নামকরাদের মধ্যে মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরা দিয়ে শুরু হয়েছিল। রবিবার সর্বশেষ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরেছেন তৃণমূলে। যা নিয়ে ফেসবুকে তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, অনেক দালাল নির্বাচনের আগে বিজেপিতে ঢুকে গিয়েছিল। কয়েকজন গিয়েছেন, এখনও কিছু রয়েছে গিয়েছেন, তাঁরা উপৎপাত করছেন, ফেসবুক পোস্টে বলেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি আরও বলেছেন, সবাইকে বাদ দেব। তিনি আরও বলেছেন, এঁরা চায় না বিজেপি শক্তিশালী হোক।
রাজ্য সভাপতি থাকলেও সন্তুষ্ট ছিলেন না
দিলীপ ঘোষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন বিগত কয়েক বছর। কিন্তু তাঁর পরিচিতি আরএসএস নেতা হিসেবে। ছিলেন আন্দামানে প্রচারকের দায়িত্বে। নির্বাচনের আগে যেভাবে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নেতারা যোগদান করছিলেন, তা নিয়ে তিনি খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। এমনটাই দাবি তাঁর অনুগতদের। কেননা সেই সময়ে আসা তৃণমূল নেতাদের দাপটে বিজেপিতে পুরনো নেতাদের কাজ করা দুষ্কর হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সেই দলবদলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মদত থাকায় কোনও কিছুই বলতে পারেননি দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা।
ব্যাটন ছিল কৈলাশ-শিবপ্রকাশদের হাতে
ভিত শক্ত না করেই ক্ষমতা দখলের ডাক ছিল। অনেক আগে থেকে বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে। তিনি মুকুল রায়কে সঙ্গে করে কাজ করেছিলেন। কার্যত মুকুল রায় যা বলতেন তাই কর,তেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন অপর কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ। কিন্তু ভোটের পরে জুনে মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পর থেকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে বাংলার রাজনীতিতে সেভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। আর এই কৈলাশ-শিবপ্রকাশরা যেভাবে ভোটের আগে অভিনয় জগতের লোকজনকে দলে টেনেছিলেন, তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিজেপির অপর প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়ও।
ময়লা সাফাই করছে তৃণমূল
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর ওয়াপসিকে আপদ বিদায় বলেছেন বিজেপির অপর প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। তিনি বলেছেন, বিজেপির ময়লা সাফাইয়ের কাজটা তৃণমূল করে দিল। তিনি বলেছেন, যাঁরা ক্ষমতার লোভে আর কিছু পাওয়ার লোভে রাজনীতি করে, মানুষের কোনও কাজে আসে না, বিজেপিতে তাঁদের কোনও জায়গা নেই।