‘বড় নেতা’ এসে গিয়েছেন, বিজেপি এবার ‘ফার্স্ট বয়’ হবে! ঠিক কী বলতে চাইলেন দিলীপ
এতদিন শুধু মুখেই তৃণমূলকে হারানোর কথা বলে আসছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। মুকুল আসতেই তৃণমূলকে টপকে এক নম্বর হওয়ার বার্তা দিলেন তিনি।
সব ছিল, শুধু 'মুখ' ছিল না। বড় নেতার অভাবে এতদিন ধুঁকছিল রাজ্য বিজেপি। এবার মুকুলের আগমনে সেই ফাঁক পূরণ হবে বলেই মনে করছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুকুল রায় এবার বিজেপির মুখ হয়ে উঠবেন, রাজ্যে পরিবর্তনের সরকার গড়়তে বড় ভূমিকা নেবেন। বিজেপির সদর দফতরে মুকুল-বরণ সাঙ্গ হতেই তাই ফলাও করে দিলীপ ঘোষ বলে দিলেন, 'বাংলায় এবার প্রথম স্থানের জন্য লড়বে বিজেপি।'
এতদিন শুধু মুখেই তৃণমূলকে হারানোর কথা বলে আসছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। মুকুল আসতেই তৃণমূলকে টপকে এক নম্বর হওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। মুকুলের আগমনে এককথায় উচ্ছ্বসিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেই দিলেন, 'এতদিন বড় নেতার অভাবে ভুগছিল রাজ্য বিজেপি। মমতার দলের একদা সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের দলবদলে সেই অভাব পূরণ হবে।'
তাঁর মুখে যেমন মুকুল রায়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছে, তেমনই নিজেদের দৈনতাও প্রকাশ পেয়েছে। দিলীপ ঘোষ নিজেদের মাঝারি মানের নেতা হিসেবেই মনে করেন। আর রাজ্য বিজেপিতে এখন একমাত্র বড় নেতা হলেন মুকুল রায়। মুকুল রায় একজন দক্ষ সংগঠক। তাঁর হাতে পড়ে বিজেপিতে পালাবদল আসবে বলেই বিশ্বাস তাঁর। আসন্ন পঞ্চায়েতেই তার সুফল মিলতে পারে বলে মনে করেন দিলীপ ঘোষ।
দিল্লির অশোকা রোডে বিজেপির সদর দফতরে মুকুল-বরণের অদ্যাবধি পরেই মুরলিধর লেনে বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই বৈঠকেই তিনি মত প্রকাশ করেন, বিজেপির অধরা সাফল্য এবার হাতের মুঠোয় আসবে। মমতার সবথেকে নির্ভরযোগ্য সেনাপতিই এখন তাঁদের দলে। ফলে যে অভাব ছিল বিজেপিতে, তা পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এবার শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা। এবার বিজেপির রাজ্য সংগঠনে জোয়ার আসতে চলেছে। তার সূত্র ধরেই সাফল্য প্রবেশ করবে গেরুয়া শিবিরে।